Twitter Alternative App: ট্যুইটারের বিকল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন ট্যুইটারেরই প্রাক্তন সিইও এবং সিহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি। জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইট ট্যুইটারের বিকল্প হিসেবে জ্যাক চালু করতে চলেছেন ব্লুস্কাই (Bluesky)। ইতিমধ্যেই অ্যাপেলর অ্যাপ স্টোরে (Apple App Store) এই ব্লুস্কাইয়ের দেখা পাওয়া গিয়েছে। আপাতত পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে ট্যুইটারের এই বিকল্প অ্যাপ। প্রযুক্তি সংক্রান্ত খবরের আপডেট দেয় টেক ক্রাঞ্চ। তাদের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, আপাতত এই ব্লুস্কাই অ্যাপ সাধারণ ইউজাররা ব্যবহার করতে পারবেন না। কারণ এই মুহূর্তে ইনভাইট অনলি বিটা পর্যায়ে রয়েছে এই ব্লুস্কাই অ্যাপ। তবে এই অ্যাপ জনসাধারণের জন্য লঞ্চ হতে আর বেশি দেরি নেই বলেই অনুমান করা হচ্ছে। ট্যুইটারের বিকল্প অ্যাপ ব্লুস্কাই প্রসঙ্গে এই নতুন অ্যাপের টিম ২০২২ সালের একটি ব্লগ পোস্টেই জানিয়েছিল।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অ্যাপেল অ্যাপ স্টোরে ব্লুস্কাই অ্যাপ দেখা গিয়েছিল। এখনও সবার জন্য এই অ্যাপ চালু হয়নি। চলছে শেষ পর্যায়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা। কিন্তু তার মধ্যেই প্রায় ২০০০ জন এই অ্যাপ অ্যাপেল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করে ফেলেছেন। অ্যাপ ইন্টেলিজেন্স ফার্ম data.ai এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
ব্লুস্কাইয়ের হাল-হকিকত
খুব সহজ সরল ইউজার ইন্টারফেস রয়েছে এই অ্যাপে। ইউজাররা ২৫৬ ক্যারেক্টারের পোস্ট তৈরি করতে পারবেন। মাত্র একটা প্লাস বাটনের সাহায্যেই যুক্ত করা যাবে ছবিও। সূত্রের খবর, এই ব্লুস্কাই অ্যাপেও শেয়ার, মিউট, ব্লক অ্যাকাউন্ট- এই সমস্ত ফিচার নিয়ে বর্তমানে কাজ চলছে।
জানা গিয়েছে, অ্যাপের নেভিগেশন হিসেবে নীচের দিকে মাঝ বরাবর থাকতে চলেছে ডিসকভার ট্যাব ফিচার। এখানে ইউজারের কাদের ফলো করবেন সে ব্যাপারে পরামর্শ পাবেন। এছাড়াও ফিডের আপডেটও পাওয়া যাবে। নোটিফিকেশনের ট্যাবে জানা যাবে আরও অনেক তথ্য। যেমন ইউজাররা তাদের পোস্টে নতুন কোন লাইক, রিপ্লাই এলে জানতে পারবেন। এছাড়াও জানা যাবে রিপোস্ট এবং অন্যান্য তথ্য সম্পর্কেও। এর পাশাপাশি অন্যান্য ইউজারদের ফলো করার সুবধাও থাকছে ট্যুইটারের মতো। তবে এখানে ট্যুইটারের মতো ডিএম বা ডিরেক্ট মেসেজ করার সুযোগ সুবিধা নেই। ইউজারের প্রোফাইলের মধ্যে একটি প্রোফাইল পিকচার, ব্যাকগ্রাউন্ড, বায়ো এবং মেট্রিকস থাকতে চলেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ট্যুইটারের সিইও পদে আসীন থাকাকালীনই জ্যাক ডরসি এই ব্লুস্কাই অ্যাপের কথা ভেবেছিলেন। ট্যুইটারের থেকে অর্থকরী সাহায্যও পেয়েছিল এই প্রোজেক্ট। ১৩ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছিল ব্লুস্কাই অ্যাপের জন্য। গতবছর এই আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছিল মূলত ব্লুস্কাইয়ের রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্টের কাজের জন্য। এই সময়ে ট্যুইটারের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন জ্যাক ডরসি।
এরপর ২০২১ সালে ট্যুইটারের সিইও পদ থেকে সরে যাওয়ার পরই জ্যাক ডরসি এই ব্লুস্কাই অ্যাপকে সোশাল মিডিয়ার একটি উন্মুক্ত মাধ্যম হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি এও বলেন যে, ট্যুইটারের মতো মাধ্যমের শক্তিক্ষয় করবে নতুন ব্লুস্কাই অ্যাপ।
আরও পড়ুন- জানুয়ারি মাসেও ২.৯ লক্ষ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ, ফের কড়া পদক্ষেপ হোয়াটসঅ্যাপের