Twitter: ইলন মাস্ক (Elon Musk) জানিয়েছেন, হয়তো চলতি বছরের শেষেই ট্যুইটারের সিইও (Twitter CEO) পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন তিনি। গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালের অক্টোবর মাসের শেষদিকে ট্যুইটারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। বহুমূল্যের বিনিময়ে (আনুমানিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার) জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম কিনে নিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই ট্যুইটারে একাধিক পরিবর্তন এনেছেন ইলন মাস্ক। সেই সঙ্গে ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাইও করেছেন দায়িত্ব নেওয়ার পরের পর্যায়েই। এবার শোনা যাচ্ছে, ইলন মাস্ক নাকি ট্যুইটারের সিইও পদ থেকেই সরে দাঁড়াবেন। তবে নিশ্চিত ভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি। 


গত ১৯ ডিসেম্বর টুইটার ব্যবহারকারীদের কাছে এই প্রশ্ন করেছিলেন ট্যুইটারের কর্ণধার।  সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের প্রধানের পদ থেকে তিনি সরে আসবেন কিনা তা জানতে চান সবার থেকে। তাঁর অফিশিয়াল হ্যান্ডেলে একটি পোলের সময় এই প্রশ্নটি করেছেন মাস্ক। তিনি আরও বলেন, '' জনগণের রায় অনুসরণ করে ট্যুইটারের বেশিরভাগ মানুষ যা বলবে তাই করবেন তিনি। 


সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইলন মাস্কের একটি পোস্ট নিয়ে শুরু হয়েছে হইচই


ট্যুইটারের নথিপত্তির সামনে, ভারিক্কি চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় নিজের পোষ্য ফ্লোকির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন মাস্ক। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ট্যুইটারের লোগো বসানো নথি টেবিলে ছড়ানো রয়েছে। মুখে কেমন যেন চওড়া হাসিও লেগে রয়েছে। গায়ে চাপানো ফুলহাতা টিশার্ট। বুকের উপর লেখা রয়েছে CEO. ওই ছবি পোস্ট করে ট্যুইটারে মাস্ক লেখেন, 'নতুন সিইও অসম্ভব রকমের ভাল'। অন্য আর একটি ট্যুইটে লেখেন, 'আগের যে সিইও ছিলেন, তাঁর চেয়ে ঢের বেশিই'। সংখ্যার হিসেব-নিকেশের ব্যাপারেও তাঁর পোষ্যর তুলনা নেই বলে দাবি মাস্কের। নেহাত মজার ছলে এই পোস্ট করেছেন মাস্ক, নাকি গুরুগম্ভীর বিষয়, তা যদিও জানা যায়নি। তবে এই পোস্ট ট্যুইটারের প্রাক্তন CEO পরাগ আগরওয়ালকে উদ্দেশ্য করেও, করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। 


কিছুদিন আগে ইলন মাস্ক জানিয়েছিলেন যে, তাঁর রাতের ঘুম কেড়েছে ট্যুইটার। সানফ্রান্সিস্কোতে চলা একটি ট্রায়ালে ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, তীব্রভাবে পিঠে এবং কোমরে যন্ত্রণা অনুভব করছেন তিনি। এর পাশাপাশি ট্যুইটারের নতুন মালিক জানিয়েছেন, সপ্তাহে সাতদিনই কাজ করছেন তিনি। ইলন মাস্কের কথায়, তিনি ঘুমোতে যাচ্ছেন, ঘুম থেকে উঠছেন, কাজ করছেন, আবার ঘুমোচ্ছেন। এভাবেই চলছে সপ্তাহের পর সপ্তাহ। সম্প্রতি ট্যুইটে ধনকুবের একথাও লিখেছেন যে গত তিনমাস খুব কঠিন সময় ছিল। ট্যুইটারকে লাভজনক সংস্থায় পরিণত করার জন্য এবং দেউলিয়া হওয়ার থেকে রক্ষা করার জন্য দিনরাত মেহনত করতে হয়েছে তাঁকে। একইসঙ্গে সামাল দিতে হয়েছে টেসলা এবং স্পেসএক্স সংস্থার কাজও। ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, যে যন্ত্রণা তিনি অনুভব করেছেন তা যেন আর কাউকে পেতে না হয়।