3D Printed Rocket: বিশ্বের প্রথম থ্রিডি প্রিন্টেড রকেট Terran 1 সফলভাবে লঞ্চ হয়েছিল। তিনবারের চেষ্টায় সফলভাবে এই রকেট উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু অরবিটে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে সফল হয়নি এই থ্রিডি প্রিন্টেড রকেট। এএফপি সূত্রে খবর, second stage separation- এর সময় অরবিটে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে আর সাফল্য আসেনি এই রকেটের। তবে এই থ্রিডি প্রিন্টেড রকেট সফলভাবে অরবিটে পৌঁছোতে না পারলেও দমে যায়নি এই রকেট নির্মাণকারী সংস্থা Relativity Space। বরং তারা জানিয়েছে, এই রকেটের সফলভাবে উৎক্ষেপণই একটি বড় জয়। কারণ এই রকেটের কাঠামোর জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ ডায়নামিক প্রেশার বা চাপ সফলভাবে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। 


Relativity Space তাদের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্টে লিখেছে এই থ্রিডি প্রিন্টেড রকেটের লঞ্চ প্রমাণ করে দিয়েছে যে তার প্রযুক্তি সফল। পরবর্তী রকেটে Terran R- এর ক্ষেত্রেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এর পাশাপাশি এই সংস্থা জানিয়েছে, তাদের থ্রিডি প্রিন্টেড রকেট Terran 1- এর সফলভাবে লঞ্চ হয়েছে Max-Q- এর মধ্যে দিয়ে। এই Max-Q- কে নিজেদের নকশার highest stress state বলেছে Relativity Space সংস্থা। আর এর থেকেই সবচেয়ে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে এই রকেটের উৎক্ষেপণে ব্যবহৃত প্রযুক্তি সঠিক এবং আগামী দিনেও তা ব্যবহার করা হবে Terran R- এর ক্ষেত্রে। 


এই থ্রিডি প্রিন্টেড রকেট লঞ্চের পিছনে রয়েছে অনেক ইতিহাস। Relativity Space কোম্পানি জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের পর এই রকেট মেন ইঞ্জিন কাটঅফ এবং স্টেজ সেপারেশন- এই দুই পর্যায় দিয়ে অগ্রসর হয়েছিল। এই এরোস্পেস কোম্পানি জানিয়েছে আগামী দিনে ফ্লাইট ডেটা পর্যবেক্ষণ করে সাধারণ মানুষের জন্য আপডেট দেবে তারা। 


থ্রিডি প্রিন্টেড রকেট


Relativity Space নামের এরোস্পেস কোম্পানি জানিয়েছে Terran 1 রকেটের ৮৫ শতাংশ হল থ্রিডি প্রিন্টেড। কেবলমাত্র এই রকেটের মুভিং পার্ট যেমন রবারের সিল, কম্পিউটার, ইলেকট্রিকাল সার্কিট, রকেট বডি, রকেটের সামনের নোজ কোণ এলাকায় যুক্ত অন্যান্য অংশ, ইন্টারনাল প্রোপেল্যান্ট ট্যাঙ্ক, রকেটের Aeon ইঞ্জিনের বেশিরভাগ অংশ থ্রিডি প্রিন্টেড। 


এই সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, টিম এলিস, যিনি ব্লু অরিজিন এলএলসি-র প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার, তাঁর মতে এই থ্রিডি প্রিন্টেড রকেট লঞ্চের উৎক্ষেপণের কারণ হল এটা দেখানো বা প্রমাণ করা যে থ্রিডি প্রিন্টেড ভেহিকেল Max Q পার করতে সক্ষম। রকেট উৎক্ষেপণের পরেই প্রথমে কয়েক মিনিটে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। সর্বোচ্চ শক্তি এবং চাপের মুখোমুখি হয়ে যায় রকেট। 


আরও পড়ুন- খননকার্যে সুবিধার জন্য নতুন অ্যাপ, লঞ্চ করেছেন প্রধানমন্ত্রী