Digital Fraud: দেশে ক্রমেই বেড়ে চলেছে ডিজিটাল জালিয়াতি বা সাইবার জালিয়াতির মাত্রা। বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছেন এর ফাঁদে পড়ে। প্রতারকরা নিত্যনতুন ফন্দি করে লুট করছেন সাধারণ মানুষের টাকা। আর এই বিষয়ে সতর্কতা (SIM Card) জারি করেছে কেন্দ্র এবং মানুষের সুরক্ষায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আরও কঠিন করতে নানা রকম পদক্ষেপ করেছে। জানা গিয়েছে এই বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্র সরকার মোট ৭.৮১ লক্ষ সিম কার্ড (Digital Fraud) ব্লক করেছে। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে দেশে ৮৩ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র।
সাইবার ঝুঁকির হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে দেশের আগামী দিনের সাইবার নিরাপত্তার অভিমুখ ঠিক কোন দিকে ? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় কুমার সম্প্রতি লোকসভায় জানিয়েছেন যে ভারত সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। জাল সিম কার্ড ব্লক করার পাশাপাশি সরকারের তরফে ২ লক্ষ ৮ হাজার ৪৬৯টি IMEI নম্বরও নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। সমস্ত ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি এই পদক্ষেপ করেছে বলে জানা গিয়েছে। চুরি হওয়া বা অবৈধভাবে প্রাপ্ত ডিভাইসের অপব্যবহার রুখতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে চলেছে।
মেসেজিং এবং ভিডিয়ো প্ল্যাটফর্মের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ
কর্তৃপক্ষ এখন ভিডিয়ো কলিং এবং মেসেজিং অ্যাপগুলির উপর বেশি করে মনোযোগ দিচ্ছে যেগুলি প্রায়ই সাইবার জালিয়াতির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (I4C) ইতিমধ্যেই এই ধরনের বেশ কিছু চ্যানেল, আইডি ইত্যাদি চিহ্নিত করেছে এবং ব্লক করেছে। ৩৯৬২টি স্কাইপি আইডি ব্লক করা হয়েছে। ৮৩,৬৬৮টি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে।
২০২১ সালে ভারতে লঞ্চ হয়েছিল ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার। মূলত আর্থিক জালিয়াতি রুখতেই এই সংস্থা তৈরি হয়েছিল কেন্দ্র সরকারের অধীনে। ইতিমধ্যেই এই সংস্থার মাধ্যমে ১৩.৩৬ লক্ষ অভিযোগের ভিত্তিতে ৪৩৮৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে দেশে। এক্ষেত্রে আগামীতে আরও বেশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত নজরদারি ব্যবস্থা এবং ডিজিটাল অপরাধে দ্রুত রেসপন্স করার দিকে চেষ্টা চালাচ্ছে এই সংস্থা।
এই সংস্থার অধীনেই দেশে লঞ্চ করা হয়েছে ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল। এখানে সব ধরনের ডিজিটাল অপরাধ বা জালিয়াতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন সাধারণ মানুষ। সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয় শিশু ও নারীদের উপরে। এই পোর্টালে দায়ের হওয়া অভিযোগকে এফআইআরে বদল করতে সহায়তা করে সমস্ত ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলি।