নয়াদিল্লি: নিঃশর্তভাবে প্রাইভেসি পলিসিতে সম্মতি জানাতে হবে, নাহলে নিস্ক্রিয় হয়ে যাবে অ্যাকাউন্ট। হোয়াটসঅ্যাপ তাঁর ইউজারদের চরমবার্তা দেওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে ঝড়। ব্যক্তিপরিসরে উঁকি দেওয়ার ঘোরতর অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। যার পর থেকেই গত ১০ বছর ধরে ক্রমে জনপ্রিয়তার শিখরে ওঠা এই মেসেজিং অ্যাপের বিকল্পগুলো ব্যবহারের ডাকও উঠেছে। সঙ্গে জুড়েছে মজার মিম দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপকে ব্যঙ্গ করা।


হোয়াইসঅ্যাপ ইউজারদের যাবতীয় তথ্য ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে পারবে, নতুন প্রাইভেসি পলিসিতে বলা রয়েছে এমনই কথা। আগের মতো অবশ্য নট নাউ অপশন এবার আর থাকছে না। জানা গিয়েছে, প্রাইভেসি পলিসি মেনে না নিলে ৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকে ইউজার ব্যবহার করতে পারবেন না হোয়াটসঅ্যাপ।

দেশের ৪০ কোটি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী ইতিমধ্যে পেতে শুরু করেছেন 'Whatsapp is updating its terms and privacy policy' মেসেজ, যার তলায় লেখা 'Agree'।  সেখানে যতক্ষণ না ক্লিক করা হবে ততক্ষণ হোয়াটসঅ্যাপের ভিতর ঢোকা যাবে না ও কাউকে টেক্সটও করা যাবে না।  আর তারপর থেকেই মিম-বিদ্ধ জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপটি। সবথেকে বেশি আক্রমণ নেমে এসেছে মার্ক জুকেরবার্গের বিরুদ্ধে।







কোনও মিমে ফেসবুক সংস্থার মালিক মার্ক জুকেরবার্গ তুলনা টানা হয়েছে মার্ভেল সিরিজের প্রখ্যাত সিনেমা এন্ড ওয়ার-র এর ভিলেন থানোসের সঙ্গে। থানোসের ছবিতে বদলে ব্যবহার করা হয়েছে তাঁর ছবি, আর হাতের ইনফিনিটি স্টোনে ব্যবহার করা হয়েছে ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপকে। আর দেখানো হয়েছে উড়ে যাবে ‘প্রাইভেসি’। অন্য একজন মশকরা করে নতুন প্রাইভেসি পলিসিতে বিরক্ত হয়ে অন্য মেসেজিং অ্যাপে চলে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন।





হোয়াটসঅ্যাপের দাবি অনুযায়ী কোনও দুই ব্যক্তির কথোপকথন এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপটেড থাকে। ২০১৬ সালে যে দাবি সামনে আনে তারা। তবে এই প্রথম তাদের প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এমনটা মোটেই নয়। মেসেজিং অ্যাপটির প্রাইভেসি পলিসিতে বলাই রয়েছে, যে কোনও তথ্য ব্যবহার করতে পারবে ফেসবুক। হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থাটিকে মার্ক জুকেরবার্গে ফেসবুক অধিগ্রহণ করে নেওয়ার পর থেকেই যা নিয়ম চলে আসছে।