পুণে: দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। প্রতিষেধক আবিষ্কারের আশায় সারা দেশ। এরই মধ্যে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট জানাল, তাদের তৈরি প্রতিষেধক জনগণের ব্যবহারে আসতে অনন্ত ৬ মাস সময় লেগে যাবে। এই সংস্থা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জোট বেঁধে করোনা ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণায় রত। ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজ শুরু করেছে সংস্থাটি।
এক সাংবাদিক বৈঠকে সিরাম ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়, তাদের কাজ চলছে । তবে তাড়াহুড়ো নয়, গবেষকরা নিরাপদ ও কার্যকরী প্রতিষেধক তৈরির দিকেই জোর দিচ্ছেন।
“যখন আমরা প্রতিষেধকটি নিরাপদ ও কার্যকারী কিনা সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারব, তখনই ঘোষণা করব। আমরা DCGI এর লাইসেন্স পেলেই জানাব। সেই জায়গায় পৌঁছাতে এখনও অন্তত ৬ মাস লেগে যাবে।"
সিরাম ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়েছে, বছরের শেষে ভ্যাকসিন বাজারে আনা সম্ভব হতে পারে। পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তৃতীয় স্তরের ফলাফল সামনে না আসা পর্যন্ত কোনওকিছু বলা সম্ভব নয়। '
'ইদানীং আরও এক প্রতিষেধক প্রস্তুতকারক সংস্থা ভ্যাকসিনের দৌড়ে ছিলেন। আমরা কিন্তু কোনও তাড়াহুড়ো করছি না। আমরা জোর দিচ্ছি নিরাপদ ও কার্যকরী প্রতিষেধক তৈরির উপর'', স্পষ্ট বক্তব্য তাদের।
কিছুদিন আগে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামী ১৫ অগস্টের মধ্যে করোনার টিকা চলে আসবে। যদিও তা বাস্তবে সম্ভব কীভাবে, প্রশ্ন তোলেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। বিরোধীদল এই ভ্যাকসিন নিয়ে তাড়াহুড়োর মধ্যে রাজনীতির গন্ধও পায়। প্রতিষেধক নিয়ে তাড়াহুড়ো করা এই মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ বলেও মনে করেন অনেক বিজ্ঞানী।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রাজেনেকা প্রতিষেধক এখন পরীক্ষামূলক প্রয়োগের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের মধ্যে। প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আশাব্যাঞ্জক ফল পেয়েছে এই প্রতিষেধকটি। এখন সবকিছু ঠিকঠাক চললে এই প্রতিষেধকটিরই সর্বপ্রথম বাজারে আসার সম্ভাবনা বেশি।
আরও অন্তত ৬ মাসের অপেক্ষা, নিরাপদ ও কার্যকরী প্রতিষেধকই লক্ষ্য, জানাল পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
10 Jul 2020 07:31 AM (IST)
“যখন আমরা প্রতিষেধকটি নিরাপদ ও কার্যকারী কিনা সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারব, তখনই ঘোষণা করব।"
uncategorized (uncategorized) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -