নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার কথা না শোনার অভিযোগ তুলে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী দাবি করলেন, প্রত্যেক দুঃস্থ পরিবারকে আগামী ছ'মাস ধরে ৭৫০০ টাকা দেওয়া উচিত সরকারের।


দেশের গরিব, পরিযায়ী, ছোট ব্যবসায়ী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিদের হয়ে আওয়াজ তুলতে "স্কিপ আপ" প্রচার শুরু করেছে কংগ্রেস। তারই অঙ্গ হিসেবে সনিয়া বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া রুখতে গত দুমাসের লকডাউনে দেশ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মতো সমস্যার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।


তিনি যোগ করেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার, মানুষ পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা প্রত্যক্ষ করেছে। খালি পায়ে হাজার হাজার মাইল হেঁটে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। তাঁদের দুর্দশা সারা দেশ দেখতে পাচ্ছে সকলের কানে পৌঁছচ্ছে, কিন্তু, সরকার দেখতে-শুনতে পাচ্ছে না। সনিয়া জানান, দেশে কোটি কোটি চাকরি ছাঁটাই হয়েছে। বহু কারখানা বন্ধ হয়ে পড়েছে। কৃষকরা শস্য বেচতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, কিন্তু সরকার তা বুঝতে পারছে না।


রায় বরেলির সাংসদ সনিয়া বলেন, সেই প্রথম দিন থেকেই কংগ্রেসের সকল নেতা, অর্থনীতিবিদ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সরকারকে আর্জি জানিয়েছিল, মানুষের ক্ষতে প্রলেপ দিতে। কিন্তু, সরকার মানুষকে বুঝতে বা সাহায্য করতে চাইছে না। তাই জন্য, কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে মানুষের হয়ে আওয়াজ তোলার। আমরা সরকারকে অনুরোধ করছি দুঃস্থকে সাহায্য করতে এবং প্রত্যেক পরিবারকে আগামী ৬ মাস ধরে ৭,৫০০ টাকা করে দিতে। একইসঙ্গে, অবিলম্বে এককালীন ১০ হাজার টাকা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করুন।


এর পাশাপাশি, আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে নিখরচায় ও নিরাপদে নিজেদের বাড়ি ফিরতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতেও সরকারকে অনুরোধ করেন সনিয়া। একইভাবে, পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়ারও আর্জি করেন। সনিয়ার মতে, এমজিএনরেগায় কর্মদিবস বাড়িয়ে ২০০ দিন করারও আহ্বান জানান তিনি। বলেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সাহায্য করা যাতে কয়েক কোটি চাকরি বেঁচে যায়।