Narada Scam Probe : কাল দুপুর ২টোয় ফের নারদ মামলার শুনানি
আজকের মতো কলকাতা হাইকোর্টে শেষ হয়েছে রাজ্যের ৪ জন হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর জামিনের আবেদন পুনর্বিবেচনার মামলা। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী জানান, জামিনের আবেদনের মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আগামীকাল আবার শুনানি হবে। আজ সিবিআই (CBI) অভিযোগ করে যে তাঁদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফে গ্রিন করিডোর করে কোর্টে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু সিবিআই সেই পরামর্শ ও সহযোগিতা নেয়নি। সিবিআই ল অ্যান্ড অর্ডারের সমস্যার মিথ্যা অভিযোগ করছে।
এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, ‘মামলা বিলম্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেন-তেন প্রকারে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের বন্দি রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজ আদালতে সিবিআই (CBI)-এর মানসিকতা স্পষ্ট হয়ে গেছে। যে সময়ে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেই সময়ে অকারণে অস্থিরতা তৈরি করার জন্য নেতামন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার না করেও কোর্টে চার্জশিট পেশ করা যেত।’ তিনি আরও বলেন, "করোনা পরিস্থিতিতে এঁদের হঠাৎ আটকে রাখতে হল কেন? একটা চূড়ান্ত প্রতিহিংসা সলিসিটার জেনারেলের গলায় শোনা যাচ্ছে। একটা জিনিসকে জটিল করার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। একের পর এক বিকৃত অভিযোগ পেশ করা হচ্ছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে যেন-তেন প্রকারে এঁদের ধরে রাখা। জটিলতা তৈরি করে আইনের ফাঁক দিয়ে আটকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।"
এই নিয়ে বিজেপি (BJP) নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) বলেন, "মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) গ্রেফতার করা হল না কেন তার উত্তর সিবিআই দিতে পারে। এর উত্তর বিজেপি দিতে পারে না। সিবিআই না দিতে পারলে তার জন্য মহামান্য আদালত খোলা আছে। এই মূহুর্তে ১২ লক্ষ ভ্যাকসিন রাজ্য সরকারের কাছে আছে। প্রতিদিন রাজ্যে ৫০-৬০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাচ্ছে না। প্রতিহিংসার তত্ত্বের আর কোনও প্রশ্ন নেই। এর আর কোনও উত্তর দেওয়ার নেই নতুন করে।"