এক্সপ্লোর
Advertisement
রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন রুখতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত তৃণমূল, বিজেপির
রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন রুখতে কড়া নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এক নির্দেশে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্তকে প্রার্থী করা হলে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় অপরাধের খতিয়ান সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করতে হবে। ফৌজদারি অপরাধের মামলা থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে প্রার্থী করা হল, তা-ও জানাতে হবে। সর্বোচ্চ আদালত আরও জানিয়েছে, শুধুমাত্র ভোটে জেতার ক্ষমতাই প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একমাত্র বিচার্য বিষয় হতে পারে না। প্রার্থীর আর কী কী যোগ্যতা, সাফল্য বা গুণ রয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। মামলা নেই, এমন কাউকে কেন প্রার্থী করা গেল না, তা-ও জানাতে হবে।
সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশ ঘিরে দেশজুড়ে আলোচনা। তাহলে কি রাজনীতিতে দুবৃত্তায়ন শেষ হতে চলেছে? রাজ্যের শাসক দলের দাবি, রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করার দাবি তারা জানিয়ে আসছে তিন দশক ধরে। এ বিষয়ে তৃমমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘বাহুবল, অর্থবলের বিরুদ্ধে তিন দশক ধরে বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছিলাম এখন সুপ্রিম কোর্ট তাই বলছে।’
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপিও। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘আমরা চাই রাজনীতি অপরাধমুক্ত হোক, প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কী কী কেস আছে তা বর্তমানে জানাতে হয়, এখন সুপ্রিম কোর্ট বলেছে তাকে স্বাগত জানাই।’
যদিও এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আইন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের। মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিৎ দেব জানিয়েছেন, ‘এটি সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয় নয়, এটি আইনসভার কাজ, এক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে সংশোধনের প্রয়োজন, সেই কাজ করতে পারে আইনসভা, আইনসভার কাজ হস্তক্ষেপ ঠিক নয়।’
কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় আবার জানিয়েছেন, ‘আদালতের নির্দেশের অংশ ছোট করে, সংবিধানের ১৪২ নম্বর ধারা অনুযায়ী এটা করতে পারে।’
রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করতে ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টে রায় দিয়েছিল, কোনও সাংসদ-বিধায়ক দোষী সাব্যস্ত হলে এবং ২ বছরের বেশি জেল হলে তাঁর সদস্যপদ বাতিল হবে। তারপরেও লোকসভা, বিধানসভায় দাগি নেতার সংখ্যা বেড়ে চলছে। সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্দেশের পর ছবিটা কি বদলাবে? প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে।
সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশ ঘিরে দেশজুড়ে আলোচনা। তাহলে কি রাজনীতিতে দুবৃত্তায়ন শেষ হতে চলেছে? রাজ্যের শাসক দলের দাবি, রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করার দাবি তারা জানিয়ে আসছে তিন দশক ধরে। এ বিষয়ে তৃমমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘বাহুবল, অর্থবলের বিরুদ্ধে তিন দশক ধরে বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছিলাম এখন সুপ্রিম কোর্ট তাই বলছে।’
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপিও। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘আমরা চাই রাজনীতি অপরাধমুক্ত হোক, প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কী কী কেস আছে তা বর্তমানে জানাতে হয়, এখন সুপ্রিম কোর্ট বলেছে তাকে স্বাগত জানাই।’
যদিও এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আইন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের। মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিৎ দেব জানিয়েছেন, ‘এটি সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয় নয়, এটি আইনসভার কাজ, এক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে সংশোধনের প্রয়োজন, সেই কাজ করতে পারে আইনসভা, আইনসভার কাজ হস্তক্ষেপ ঠিক নয়।’
কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় আবার জানিয়েছেন, ‘আদালতের নির্দেশের অংশ ছোট করে, সংবিধানের ১৪২ নম্বর ধারা অনুযায়ী এটা করতে পারে।’
রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করতে ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টে রায় দিয়েছিল, কোনও সাংসদ-বিধায়ক দোষী সাব্যস্ত হলে এবং ২ বছরের বেশি জেল হলে তাঁর সদস্যপদ বাতিল হবে। তারপরেও লোকসভা, বিধানসভায় দাগি নেতার সংখ্যা বেড়ে চলছে। সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্দেশের পর ছবিটা কি বদলাবে? প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে।
আরও দেখুন
Advertisement
Advertisement
Advertisement
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
খবর
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement