live updates: গণপিটুনিতে ‘ব্যথিত’, কিন্তু ঝাড়খণ্ডের অপমান করা উচিত নয়, রাজ্যসভায় মোদি

নানা সময়ে বিরোধীরা ইভিএমের কলকাঠি নাড়ানোর আশঙ্কা প্রকাশ করে তার মাধ্যমে প্রকৃত জনমতের প্রতিফলন ঘটে না বলে দাবি করে আগের ব্যালটে নির্বাচন ফেরানোর যে দাবি করেন, আজ তাকেও কটাক্ষ করেন তিনি। মোদি বলেন, যারা পরাজয়ের পর আত্মসমীক্ষা করে নিজেদের ব্যর্থতা খুঁজে বের করতে আগ্রহী নয়, তারাই হারের জন্য ইভিএমকে দোষ দেয়।

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Last Updated: 26 Jun 2019 04:20 PM
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঝাড়খণ্ডের গণপিটুনির ঘটনায় আমি ব্যথিত। অন্যরাও এতে বেদনাহত হয়েছেন। কিন্তু রাজ্যসভায় কিছু লোক এজন্য গোটা ঝাড়খণ্ডকেই গণপিটুনির আঁতুরঘর আখ্যা দিয়েছেন। এটা বলা কি ঠিক? কেন একটা রাজ্যকে অপমান করা হচ্ছে? আমাদের কারও ঝাড়খন্ডের অমর্যাদা করার অধিকার নেই। প্রধানমন্ত্রী সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, ঝাড়খণ্ড, কেরল বা পশ্চিমবঙ্গ, যেখানেই হোক, হিংসার ঘটনাকে একই সমান মানদন্ডে বিচার করতে হবে এবং হিংসার নায়কদের স্পষ্ট বুঝিয়ে দিতে হবে যে, এই ইস্যুতে সারা দেশ এক।
মোদি দাবি করেন, আমরা সরকারি প্রক্রিয়া সহজ, সরল করার লক্ষ্যে কাজ করেছি, যাতে উপকার হয়েছে ভারতবাসীর।
ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে যুবক হত্যার অভিযোগ নিয়ে মোদি বলেন, এটা দুঃখজনক অবশ্যই, অপরাধীরা সাজা পাবেই, কিন্তু এজন্য গোটা ঝাড়খণ্ডকে দোষ দেওয়া অন্যায়।

প্রধানমন্ত্রী বিগত কংগ্রেস জমানাকে কটাক্ষ করে এও বলেন, আপনারা কি সেই পুরানো ভারত চান, যেখানে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত ছিঁড়ে ফেলা হত, প্রতিরক্ষা, সেনার সম্পত্তি নিয়ে পিকনিক চলত!
আমাদের রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই বটে, কিন্তু সভায় মানুষের রায়ের কণ্ঠরোধ করা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাজ্যসভায় সরকারের কাজে বাধা দিয়েছে যে সব দল, তাদের দেশবাসী সাজা দিয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এক দেশ, এক নির্বাচন ইস্যুও টানেন। বলেন, কোনওরকম বিতর্ক না করেই কিছু দল এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে। একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট করানোর ব্যাপারে জনগণ যে পরিণত, তা বোঝাতে গিয়ে তিনি ওড়িষার উদাহরণ দেন। সেখানে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে ভিন্ন ভিন্ন দল জিতেছে।
কংগ্রেসকে নিশানা করে তিনি বলেন, আপনাদের নিয়ে সমস্যা হল, আপনারা সাফল্য হজম করতে পারেন না, পরাজয় মেনে নিতে পারেন না।

প্রেক্ষাপট

নয়াদিল্লি: গতকালের পর বুধবারও কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ নরেন্দ্র মোদির। লোকসভায় মঙ্গলবার তিনি কংগ্রেসকে জরুরি অবস্থার ইস্যুতে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। বলেছিলেন, গণতন্র্জ, ভারতের আত্মাকে ধ্বংস করা হয়েছিল জরুরি অবস্থার মাধ্যমে। গণতন্ত্রের শরীরে জরুরি অবস্থা ছিল একটা কালো দাগ যা কোনওদিন মুছে যাবে না। আজ তিনি রাজ্যসভায় বললেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়কে গণতন্ত্র ও দেশের পরাজয় বলাটা গণতন্ত্রের অপমান। বিজেপির জয়কে দেশের পরাজয় বলা কংগ্রেসের চরম ঔদ্ধত্যের পরিচয় বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
নানা সময়ে বিরোধীরা ইভিএমের কলকাঠি নাড়ানোর আশঙ্কা প্রকাশ করে তার মাধ্যমে প্রকৃত জনমতের প্রতিফলন ঘটে না বলে দাবি করে আগের ব্যালটে নির্বাচন ফেরানোর যে দাবি করেন, আজ তাকেও কটাক্ষ করেন তিনি। মোদি বলেন, যারা পরাজয়ের পর আত্মসমীক্ষা করে নিজেদের ব্যর্থতা খুঁজে বের করতে আগ্রহী নয়, তারাই হারের জন্য ইভিএমকে দোষ দেয়।
পাশাপাশি মোদি সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি ইঙ্গিত করেও বলেন, এই নির্বাচন ছিল একটা বিশেষ ঘটনা, যাতে কয়েকটা দশক বাদে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে একটা সরকার এসেছে। এটা দেখিয়েছে, ভোটারদের মন থেকে স্থিতিশীলতাকে কতটা গুরুত্ব দেন।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.