LIVE UPDATES; ইস্তফা গ্রহণ করছেন না, দাবি, স্পিকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কর্নাটকের আরও ৫ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক, সোমবারই আস্থাভোট চায় বিজেপি
১০ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কের আবেদন শুনে সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার স্পিকারকে ওই ১০ জনের ইস্তফা ও বিধায়কপদ বাতিলের প্রশ্নে মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছে।
ঘটনাচক্রে হোসকোটের বিধায়ক নাগরাজ রাজ্যের আবাসনমন্ত্রীও।
তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পাশে ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর, জলসম্পদমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার, অন্য নেতারাও।
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: কর্নাটকে আরও ৫ বিদ্রোহী কংগ্রেসি বিধায়ক সুপ্রিম কোর্টে গেলেন। বিধানসভার স্পিকার কে আর রমেশের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, তিনি তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ করছেন না। আনন্দ সিংহ, কে সুধাকর, এন নাগরাজ, মুনিরত্ন ও রোশন বেগ-এই ৫ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক ইতিমধ্যে ১০ বিদ্রোহী বিধায়কের দায়ের করা বকেয়া পিটিশনে তাঁদের আর্জিও অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেছেন। ১০ বিদ্রোহী বিধায়কের পিটিশনের শুনানি মঙ্গলবার।
কংগ্রেস-জেডি(এস)জোটের যে ১০ বিদ্রোহী বিধায়ক সু্প্রিম কোর্টে স্পিকার তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ করেছেন, তাঁরা হলেন প্রতাপ গৌড়া পাতিল, রমেশ জারকিহোলি, বায়রাতি বাসবরাজ, বি সি পাতিল, এস টি সোমশেখর, আরবেইল শিবরাম হেব্বার, মহেশ কুমাথালি, কে গোপালাইয়া, এ এইচ বিশ্বনাথ ও নারায়ণ গৌড়া। তাঁদের আর্জি শুনে সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার স্পিকারকে ওই ১০ জনের ইস্তফা ও বিধায়কপদ বাতিলের প্রশ্নে মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছে। ‘গভীর গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু উঠে এসেছে’ বলে অভিমত জানিয়ে শীর্ষ আদালত বলেছে, ১৬ জুলাই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে, শুক্রবার পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তা-ই বহাল থাকবে অর্থাত্ স্থিতাবস্থা বহাল রাখতে হবে।
এই বিধায়কদের ইস্তফায় কর্নাটকের এইচ ডি কুমারস্বামী সরকারকে সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে, বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা খোয়াতে বসেছে তারা।
সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের আওতায় বিধায়কদের দেওয়া রিট পিটিশনের গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন ছাড়াও সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, স্পিকার বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণের আগে বিধায়কপদ বাতিলের প্রক্রিয়ার ওপর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। বিদ্রোহী বিধায়কদের কৌঁসুলি সওয়াল করেন, স্পিকার বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফার ওপর সিদ্ধান্ত নেননি যাতে তাঁরা দলীয় হুইপ মানতে বাধ্য থাকেন এবং তাঁরা বিধানসভায় হুইপ না মানলে তাঁদের বিধায়কপদ বাতিল করতে পারেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -