কলকাতা: আমাদের দেশের অর্থনীতির (economy) অন্যতম স্তম্ভ কৃষকরাই। রয়েছেন বহু ছোট ও প্রান্তিক কৃষক (Farmers) । মূলত তাঁদের জন্য রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্প রয়েছে। তেমনই একটি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি (PM Kisan Nidhi) । কেন্দ্রের এই প্রকল্পে উপভোক্তা কৃষক কয়েকটি কিস্তিতে বছরে মোট ৬ হাজার টাকা পাবেন। মূলত ছোট ও প্রান্তিক চাষিদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্প এনেছে। বছরে কয়েকটি কিস্তিতে মোট ৬০০০ টাকা পান উপভোক্তা কৃষক। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি প্রকল্পের ১৪তম কিস্তি দেওয়া হয়েছে উপভোক্তা কৃষকদের। এই কিস্তির মাধ্য়মে দেশের অন্তত সাড়ে আট কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে মোট ১৭ হাজার কোটি টাকা ঢুকেছে।
এই তালিকায় নিজের নাম তুলতে গেলে একজন চাষিকে কয়েকটি শর্ত মানতে হবে। কিন্তু আবেদন কীভাবে করতে হবে?
পুরো কাজটাই করা যাবে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে। প্রথমেই যেতে হবে স্ক্রিনে দেখানো ওয়েবসাইটে। সেখানে ডানদিকে উপরে রয়েছে নাম নথিভুক্তির অপশন। ক্লিক করলেই পেজ খুলবে। সেখানে আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর ও রাজ্যের নাম সিলেক্ট করলে OTP আসবে নম্বরে। তারপরে যা যা তথ্য চাওয়া হয়েছে সেগুলো দেখে ফর্ম ফিলআপ করুন। প্রয়োজন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরও, সেখানেই টাকা ঢুকবে। আধার এবং NPCI-এর সঙ্গে লিঙ্ক করতে হবে।। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে ল্যান্ডহোল্ডিং পেপার, আয়ের শংসাপত্রের মতো নথিও প্রয়োজন। আরও নির্দিষ্ট তথ্য় মিলবে এই ওয়েবসাইটেই। আবেদনের পরে যাবতীয় নথি সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসন যাচাই করে সবুজ সঙ্কেত দিলে তবেই অ্যাকাউন্টে ঢুকবে কেন্দ্রের টাকা।
আর্থিক সাহায্য দিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে শুরু হয়েছিল এই প্রকল্প। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয়েছিল এই প্রকল্প। এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে উপভোক্তা কৃষকদের বছরে ৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়ে থাকে। বছরে ৩টি কিস্তিতে দেওয়া হয়ে থাকে এই টাকা। চার মাসের ব্য়বধানে এই কিস্তি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি প্রকল্পের ১৪তম কিস্তি তাঁরাই পাবেন যাঁদের অ্যাকাউন্ট আধার এবং ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে লিঙ্ক করা রয়েছে। দেশে এখনও এমন অনেক কৃষক রয়েছে যাঁরা এখনও এই প্রকল্পের অধীনে ১৩তম কিস্তি পাননি। ফলে ওই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু নিয়ম সংক্রান্ত এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য এই সমস্যা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সেগুলি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত এই টাকা ঢুকবে না বলে জানা গিয়েছে। যে কৃষকরা এখনও e-KYC করেননি তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছবে না।