ভোটের সময়, নাম না করে নারদ-সহ একাধিক ইস্যুতে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। যা তৃণমূলের অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছিল। দীনেশ ত্রিবেদীর নানা মন্তব্যে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়েছে বলেই মনে করছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ফল বেরনোর পরের দিনই দীনেশকে পাল্টা বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার, কালীঘাটে, দলের নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূলনেত্রী। সেই বৈঠকেই নাম না করে দীনেশের উদ্দেশে মমতার বার্তা, যুদ্ধের সময় যে সৈনিক পাশে থাকেন না, তিনি সাংসদ হোন কিংবা যেই হোন, পার পাবেন না।
দলীয় বৈঠকে এ দিন মমতা দাবি করেন, তারা ২১১’র থেকেও বেশি আসনে জিততে পারত। কিছু আসনে প্রার্থীরা হেরেছেন অনেকটাই নিজেদের দোষে। আর কিছু আসনে হারের পিছনে অন্যান্য ফ্যাক্টর কাজ করেছে। সবকিছুই পর্যালোচনা করে দেখা হবে বলে জানান তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, অনেকেই নিজেকে বড় ভেবে ফেলেছিলেন। মানুষের থেকে ক্রমশ দূরে সরে গিয়েছেন। তাঁদের আচার-আচরণ মানুষ পছন্দ করেনি।
আবার, মণীশ গুপ্ত, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নির্বেদ রায়, অজয় দে, ভাইচুং ভুটিয়ার মতো যে সব তৃণমূল প্রার্থী হেরেছেন, তাঁদের প্রতি সহানুভূতির বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে খবর, এই সব প্রার্থীদের দল এবং প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগানো হবে।
ভাঙড়ে রেজ্জাক মোল্লার হয়ে আরাবুল ইসলাম ঠিক মতো কাজ করেননি বলেও এ দিন বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলনেত্রী। দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের বিরুদ্ধেও তিনি ক্ষোভ উগড়ে দেন।
প্রসঙ্গত, বিপ্লব মিত্র এবং প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী, দক্ষিণ দিনাজপুরের এই দুই নেতাই এবার তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন। দু’জনেই হেরে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই পরাজয় বলে মনে করছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
এলাকায় শান্তি বজায় রাখা এবং মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর জন্য এ দিনের বৈঠকে নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।