কলকাতা : জ্যোতিষশাস্ত্রে (Astrology) শনিদেবকে (Shani Dev) 'নিষ্ঠুর গ্রহ' বলা হয়। সূর্যের পুত্র শনি হলেন কর্মের দাতা এবং তিনি মানুষকে তাঁদের কর্ম অনুসারে ভাল বা খারাপ ফল দেন। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতে শনির সাড়ে সাতি থাকে তাহলে তাঁর জীবনে নানা ধরনের সমস্যা আসে। তাই শনির অশুভ প্রভাব এড়াতে শাস্ত্রে বহু প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে। শনির প্রকোপ এড়াতে আপনি কিছু সহজ ব্যবস্থা করে দেখতে পারেন। এতে শনিদেবের আশীর্বাদ বর্ষিত হয়।


আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই ব্যবস্থাগুলি সম্পর্কে...


হনুমান চালিসা পাঠ - হনুমান চালিসা পাঠ করা হল- শনিদেবের কুদৃষ্টি থেকে বাঁচার সবচেয়ে নিশ্চিত উপায়। যদি আপনার কুণ্ডলীতে সাড়ে সাতি থাকে বা আপনি শনির ক্রোধে ভুগে থাকেন, তবে হনুমান চালিসা পাঠ করুন। শ্রী হনুমান চালিসার পাঠ শনির সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়।


শনি মন্ত্র জপ- ওম প্রম প্রম প্রম সহ শনিচারায় নমঃ!
উপরের মন্ত্রটি হল শনি বীজ মন্ত্র। ভগবান শনির নিষ্ঠুর দৃষ্টি এড়াতে এবং তাঁর আশীর্বাদ পেতে এই মন্ত্রটি জপ করা উচিত।


ওম শম শনিশ্চরায় নমঃ!
শনিকে খুশি করতে এই মন্ত্রটিও জপ করতে পারেন।


প্রিয় তিল ও তেল- শনিদেবের কাছে তিল, তেল ও ছায়াপাত্র দান অত্যন্ত প্রিয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই জিনিসগুলি দান করলে শনি গ্রহ শান্ত হয় এবং শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। শাস্ত্র মতে, এগুলো দান করলে শনিদেবের দেওয়া কষ্ট দূর হয়। 


ধুতরার মূল পরুন- শনি গ্রহের আশীর্বাদ পেতে শাস্ত্রে ধুতরার মূল পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর শিকড় গলায় বা হাতে বেঁধে নিন। এই মূল পরিধান করলে শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। 


জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সাতমুখী রুদ্রাক্ষ শনি গ্রহের প্রতিনিধিত্ব করে। রুদ্রাক্ষ পরিধান করলে শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং শনি সংক্রান্ত অশুভ দূর হয়। সোমবার বা শনিবার গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে এই রুদ্রাক্ষ পরিধান করলে শনির ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


ডিসক্লেইমার (Disclaimer): এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই প্রকার কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্যে এবিপি লাইভের কোনও সম্পাদকীয় মতামত নেই। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন। 


আরও পড়ুন ; কেরিয়ারে সুযোগ-অর্থ, এ সপ্তাহে কী রয়েছে আপনার ভাগ্যে ?