কলকাতা: বাঙালিদের জীবনে নানাভাবে জড়িয়ে রয়েছে মাছ (Fish)। শুভ অনুষ্ঠানে মাছ যেমন, সন্দেশ সেজে বিয়ের (Weeding) তত্ত্বে ওঠে, তেমনই আবার হলুদ-সিঁদুর কপালে পরে পাড়ি দেয় রুই-কাতলা। তবে রঙিন মাছের শখও বাঙালিদের কম নয়। ঘর সাজাতে,অফিস সাজাতে অনেকেই অ্যাকোরিয়াম রাখেন। কিন্তু জানেন কি ? একটা ভুলে, আপনার অজান্তে সমস্যা বয়ে আসতে পারে। তাই বাস্তু মেনে অ্যাকোরিয়াম (Aquarium Vastu) সাজান, জীবনে সেরা সময় কাটান।
বাস্তু মেনে কীভাবে অ্যাকোরিয়াম সাজাবেন ?
বাস্তুমতে অ্যাকোরিয়াম সাজানোর আগে নির্দিষ্ট জায়গা বেছে নিন। বাস্তু মতে অ্যাকোরিয়াম রাখার শুভ জায়গা হল ড্রইং রুম। দিক অনুযায়ী উত্তর পূর্ব বা দক্ষিণ পূর্বে রাখুন।বাস্তুশাস্ত্রে অ্যাকোরিয়ামের গুরুত্ব অনেক। কারণ দিক না মেনে নির্মিত বাড়ি, সংসারে অশান্তি, জীবনে অসফল, এই সব কিছুই বাস্তু দোষে অনেক সময় হয়। সেব কাটিয়ে দিতে পারে অ্যাকোরিয়াম।তবে শুধুই বাড়িতেই নয় কর্মক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব অনেক। কাজের জায়গায় অ্যাকোরিয়াম খাবার ঘরে রাখতে পারেন। এক্ষেত্রেও দিক অনুযায়ী উত্তর পূর্ব বা দক্ষিণ পূর্বে রাখুন। বাস্তুমতে অ্যাকোরিয়াম থেকে একটি মাছ চলে যাওয়া নেতিবাচক শক্তিকে বর্জন করে। পরিবেশগত নেতিবাচক শক্তি থেকে দূরে থাকে।অ্যাকোরিয়ামের ভিতরে থাকা মাছগুলি, যেগুলি দ্রুত বেগে চলে , সেগুলি প্রচুর পরিমাণে নির্দিষ্ট শক্তি সমর্থন করে। দৈনন্দিন জীবনে অনুপ্রেরণা যোগায় কাজে। জীবনে আনে সফলতা।
কীভাবে অ্য়াকোরিয়ামের মাছেদের যত্ন নেবেন ?
অপরদিকে, ডিসেম্বর পড়তেই রাজ্যে শীতের আমেজ ক্রমশ বাড়ছে। এই সময় কীভাবে অ্য়াকোরিয়ামের মাছেদের যত্ন নেবেন ? এই সময় অ্যাকোরিয়ামে মাছেদের শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য, হিটার ব্যবহার করা উচিত। এতে মাছেরা সুস্থ- স্বাভাবিক থাকবে।অ্য়াকোরিয়ামে মাছেদের বেশি বার খাবার দেবেন না। মাছ অনুযায়ী বুঝে খাবার দিন। দিনে দুই বার ম্যাক্সিমাম। বিকেল পেরোলে খাবার দেবেন না, কারণ সেইসময় মাছের অ্যাক্টিভিটি কমে যায়।অ্যাকোরিয়ামে আলোটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। তবে বিভিন্ন ধরণের হয় এই আলোক সজ্জা। অ্য়াকোরিয়ামের ধরণ বুঝে আলো অ্য়ারেঞ্জমেন্ট করা হয়।উইডো ট্যাঙ্কের ক্ষেত্রে যেমন লাগে নীল আলো। পাশাপাশি আপনি যদি ইকো ফ্রেণ্ডলি গ্রীণারি দিয়ে সাজান, সেক্ষেত্রে সাদা আলো ব্যবহার করা উচিত।ছোট গুল্ম, পানা দিলে যদি রঙ সবুজ থাকে, তাহলে বুঝবেন, সাদা আলো বা সূর্যের আলো ঠিক মতো ঢুকছে। ডিসকালার হলে বুঝবেন কিছু সমস্যা হচ্ছে, সালোকসংশ্লেষে বাধা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, নতুন বছরে কী কী জিনিস ঘরে রাখলে আসবে সৌভাগ্য
অ্যাকোরিয়ামে মাছ মরে যাচ্ছে ? কীভাবে বাঁচাবেন ?
অ্যাকোরিয়ামে জলের রং বদলে যাচ্ছে কি, এটাও খেয়াল রাখবেন। এটাও মাছের মৃত্যুর কারণ হবে। অনেক সময় জলের অ্য়াসিডিক পরিমাণ বাড়লেও মাছেদের মৃত্যু হয়। তবে জলে অ্যাসিডিক পরিমাণ বাড়লে বুঝতে আপনাকে, প্রথমে তার মাত্রা কত বুঝতে পরীক্ষা করতে হবে। এরপর অ্য়াসিড রিমুভার ব্যবহার করতে হবে। অ্যাকোরিয়ামে আপনি অ্যাসিড এবং বেসের ভাগটা খেয়ালে রাখবেন। তাহলে মাছেদের ভালো থাকাটা স্থির রাখতে পারবেন। অ্য়াকোরিয়ামে অক্সিজেনের মাত্রা কততে দেওয়া, তার উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। কারণ এক এখটা মাছের ক্ষেত্রে একেক রকম অক্সিজেনের মাত্রা প্রয়োজন হয়। অ্য়াকোরিয়ামে যে মাছগুলি রেখেছেন, সেই মাছগুলি একের অপরের শত্রু নয় তো ? কারণ সব মাছেদের সঙ্গে সবাই থাকতে পারে না। সেটাও খেয়াল রাখবেন।