কলকাতা : আগামীকাল ৬ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তী। হিন্দু ধর্মে হনুমান জয়ন্তীর দিনটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।হনুমানজির পূজা করলে জীবনে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং সুখ ও শান্তি আসে। ধনলাভও হয়। প্রতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হনুমান জয়ন্তী পালিত হয়। অনেক জায়গায় এই উৎসব কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতেও পালিত হয়।


চৈত্র পূর্ণিমার দিনে হনুমানজির জন্ম হয়েছিল। তাই এই দিনটিকে হনুমানজির জন্মবার্ষিকী হিসেবে পালন করা হয়। এ বছর হনুমান জয়ন্তীতে পাঁচ রাশির জাতকরা হনুমানজির বিশেষ আশীর্বাদ পাবেন। জেনে নিন এই রাশিগুলি সম্পর্কে।


কারা পাবেন হনুমানজির বিশেষ আশীর্বাদ ?



  • মেষ : হনুমান জয়ন্তীতে মেষ রাশির জাতকদের অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী হবে। অর্থ উপার্জনেরও অনেক সুযোগ থাকবে। বেকাররা চাকরি পেতে পারেন। জমি-সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়েও সমাধান হবে।

  • বৃষ- রাশির জাতকদের সঙ্গীর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় থাকবে। যে কারণে আপনি মানসিক শান্তি অনুভব করবেন। বজরঙ্গবলীর কৃপায় আপনি আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকবেন।

  • সিংহ- ভগবান হনুমান সিংহ রাশির জাতকদের প্রতি সদয় হন। সূর্য সিংহ রাশির অধিপতি, যিনি হনুমানজিরও গুরু। তাই এই রাশির জাতক জাতিকাদের উপর তাঁর বিশেষ আশীর্বাদ রয়েছে। হনুমান জয়ন্তীতে সিংহ রাশির জাতকরা ভগবানের আশীর্বাদ পাবেন।

  • কুম্ভ - এই রাশির অধিপতি হলেন শনিদেব এবং শনিদেবের ভক্তরাও হনুমানজির আশীর্বাদ পান। হনুমান জয়ন্তীতে হনুমানের পুজো করলে চাকরি ও ব্যবসায় অনেক উন্নতি হবে।

  • মীন - এই রাশির জাতকদের জন্য সময়টা ভাল। আয় বাড়বে এবং ভ্রমণের সুযোগও থাকবে। সন্তানদের দিক থেকেও কিছু সুখবর পেতে পারেন।


প্রসঙ্গত, হিন্দুশাস্ত্রে কথিত আছে, শ্রী বিষ্ণুর রাম অবতারের সময় সহযোহিতা করার জন্য রুদ্রাবতার বজরঙ্গবলীর জন্ম হয়েছিল। মঙ্গলবার তাই সারাদেশে সকল ভক্তরাই ধুমধাম করে হনুমানজির পুজো করে থাকেন। হনুমান জয়ন্তীর দিন সরষের তেলে সিঁদুর মিশিয়ে প্রথমে বজরঙ্গবলীকে লাগান। এরপর বাড়ির মূল প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে ঘরের দরজায় স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করলে ঘরে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে না। 


ডিসক্লেইমার (Disclaimer): এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই প্রকার কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্যে এবিপি লাইভের কোনও সম্পাদকীয় মতামত নেই। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।