কলকাতা: সনাতন ধর্মে বিশ্বাস করা হয় রাস পূর্ণিমা নিছক একটি উদযাপন নয় বরং একটি আধ্যাত্মিক যাত্রা। ভক্তদের অটল প্রেম, নিঃস্বার্থ ভক্তি এবং ঐশ্বরিক আত্ম সমর্পণের গুরুত্ব শেখায়। রাস পূর্ণিমা ভগবান কৃষ্ণের ঐশ্বরিক খেলা এবং এটি যে নিরন্তর পাঠ দেয় তার একটি প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে। এটি প্রেম,ভক্তি ঈশ্বর এবং ভক্তের মধ্যে চিরন্তন সংযোগের উদযাপন।
এই আনন্দেই শুরু হয় রাস উৎসব। এ বছর, আগামী শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, শ্রীকৃষ্ণের সেই উৎসব রাসযাত্রা সম্পন্ন হবে।
কৃষ্ণপ্রেমী বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব রাস। বাংলায় শ্রীচৈতন্যদেবের রাস উৎসব পালনই প্রচলিত ছিল বহু যুগ ধরে। নবদ্বীপকে কেন্দ্র করে রাজ্যের নানা প্রান্তের বৈষ্ণবরা মেতে ওঠেন উৎসবে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময়ের পর থেকে বাংলায় রাস উৎসব আরও ছড়িয়ে পড়ে। রাধাকৃষ্ণের আরাধনা হলেও, অঞ্চলভেদে উৎসবের রীতি আলাদা হয়ে যায়। কখনও আবার বদলে যায় সময়ও। শারদ রাস এবং বসন্ত রাস—দুইই প্রচলিত বৈষ্ণবদের মধ্যে।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে:
পূর্ণিমা তিথি শুরু: ২৯ কার্তিক বা ১৫ নভেম্বর, শুক্রবার, ভোর ৬টা ২১ মিনিটে।
পূর্ণিমা তিথি শেষ: ২৯ কার্তিক, ১৫ নভেম্বর, শুক্রবার, রাত ২টো ৫৯ মিনিট।
গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকা মতে:
পূর্ণিমা তিথি শুরু: ২৯ কার্তিক, ১৫ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, ভোর ৫টা ১৩ মিনিটে।
পূর্ণিমা তিথি শেষ: ২৯ কার্তিক, ১৫ নভেম্বর, শুক্রবার, রাত ৩টে ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড।
আরও পড়ুন, আচমকাই ঘুরবে ভাগ্যের চাকা, এই রাশিদের কপালে টাকা-সুখের বন্যা!
ডিসক্লেমার : ধর্মীয় বিশ্বাস নিজস্ব। এ ব্যাপারে কোনও মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ ধর্ম সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে