৭০০ বছর পর পঞ্চ মহাযোগ
রাখী পূর্ণিমা বা রক্ষাবন্ধন । ঝুলন পূর্ণিমার পুণ্য তিথিতে ভারতজুড়ে এই উতসব শুধুমাত্র ভাইবোনের সম্পর্কের উদযাপন নয়, একে অন্যকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার মুহূর্ত। এই বছর এই উৎসব দুদিন জুড়ে। বুধ ও বৃহস্পতিবার। এদিন ভাই-বোনের একে-অপরের জন্য শুভেচ্ছা তো থাকছেই, বাড়তি পাওয়া ৭০০ বছর পর তৈরি হওয়া পঞ্চ মহাযোগ।
জ্যোতিষশাস্ত্রের হিসাব অনুযায়ী, ৭০০ বছর পর মহাযোগ গঠন হতে চলেছে রাখী পূর্ণিমায়। গ্রহের এই অবস্থান, বুধ, বৃহস্পতি এবং শশ যোগ তৈরি করবে। জ্যোতিষীরা বলছেন, এই ধরনের শুভ দশায় রাখি বাঁধার শুভ ফল বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে। ৩০ অগাস্ট অর্থাৎ বুধবার, সূর্য, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র এবং শনি গ্রহ মিলে পঞ্চ মহাযোগ তৈরি হতে পারে। গ্রহের এই অবস্থানে বুধাদিত্য, বাসরপতি এবং শশ যোগ তৈরি হবে।
এছাড়া জ্যোতিষবিদদের একাংশের মতে, ২০০ বছর পরে, শনি এবং বৃহস্পতি তাদের নিজস্ব রাশিতে বিপরীতমুখী অবস্থায় বসে থাকবে। যার জন্য কিছু রাশির উপর এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে। বিশেষ করে ব্যবসায়ী শ্রেণী বিপুল লাভবান হবেন।
একই সময়ে, ২৪ বছর পরে, রক্ষা বন্ধনে রবি যোগের সঙ্গে বুধাদিত্য যোগ এবং শতাব্দী নক্ষত্রের সংমিশ্রণ তৈরি হয়েছে। এই বিরল সংযোগের ফলে কয়েকটি রাশির ভাগ্য সমৃদ্ধ হবে। রাজ যোগ থাকতে পারে কয়েকটি রাশির জাতকদের ভাগ্যে।
সিংহ রাশি - রক্ষাবন্ধনে বা রাখীর দিন একটি বিস্ময়কর কাকতালীয় ঘটনা ঘটছে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে। সিংহ রাশির জাতক জাতিকাদের ভাগ্য উজ্জ্বল হতে পারে। মা লক্ষ্মী ও শনির কৃপায় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ভালো লাভ পাবেন। সম্পদ বৃদ্ধির ফলে পরিবারে সুখ আসবে। এই সময়টি বিনিয়োগের জন্য অনুকূল, এই সময়ে করা বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা দেবে। দাম্পত্য জীবনে মধুরতা থাকবে।
মিথুন রাশি: এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য রক্ষা বন্ধনের দিনটি সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসবে। এ দিন থেকে আগামী এক মাস পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা পাওয়া যেতে পারে। আপনি অর্থের সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী হবে। টাকা জমাতে সক্ষম হবেন। পৈতৃক সম্পত্তি থেকে আর্থিক লাভ হবে। বৃহস্পতির শুভ প্রভাবে দাম্পত্য জীবনের বাধার অবসান ঘটবে।
ধনু রাশি- ধনু রাশির জাতকদের জন্য রক্ষাবন্ধনের দিনটি সৌভাগ্যের হবে। দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত কাজগুলোও শেষ হবে। এই সময়ে, আপনি আপনার জীবনসঙ্গী এবং পরিবারের সম্পূর্ণ সমর্থন পাবেন। কর্মক্ষেত্রে রাজ যোগের সুফল পাবেন। আয়ের সঙ্গে উৎস বাড়বে। স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। সমাজে সম্মান বাড়বে। সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন শিক্ষার্থীরা সাফল্য পাবেন।