কলকাতা : বর্ষাকাল শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির ফোঁটায় চারিদিকে সবুজের সমারোহ। বর্ষাকালে হিন্দুদের পবিত্র মাস শ্রাবণ মাসও পড়ে। যার শুরু হওয়ার কথা ২২ জুলাই থেকে। শ্রাবণ মাস ভগবান শিবকে উৎসর্গ করা হয়। তবে এই সময়ে শনি মহারাজের পুজোরও গুরুত্ব রয়েছে। বর্ষাকালে ছোট ছোট উপায়ে শনিদেবকে খুশি করা যেতে পারে। এইসব ব্যবস্থায় শনি সাড়েসাতি ও ধাইয়ার প্রভাবও কমে। শনিদেবকে খুশি করতে বর্ষায় এই জিনিসগুলি দান করতে পারেন।
কালো রঙের জিনিস দান করুন- শনিদেব কালো রঙের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই রং তাঁর খুব পছন্দ। তাই শনিদেবকে খুশি করতে কালো রঙের জিনিস দান করতে পারেন গরিব-দুঃখীকে।
ছাতা দান করুন : বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টি হয়। এই সময়ে দরিদ্র শ্রেণির মানুষের বাড়ি থেকে বেরনোই দুষ্কর হয়ে ওঠে। তাই, এই সময়ে আপনি কালো রঙের ছাতা দান করতে পারেন। এতে সন্তুষ্ট হবেন শনি মহারাজ।
চটি-জুতো দান করুন - বর্ষাকালে গরিব মানুষকে কালো রঙের জুতো ও চপ্পল দান করলেও শনিদেব খুশি হন।
কুকুরের সেবা করা যেতে পারে- বর্ষাকালে কুকুরের খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা হয়। তাদের খাওয়ানো উচিত। বিশ্বাস করা হয় যে, কালো কুকুরের সেবায় শনিদেব খুব খুশি হন।
বর্ষাকাল পাখিদের জন্যও বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে। তাদেরও খাওয়ানো উচিত। এতে সাডে়সাতি ও ধাইয়ার প্রভাব কমে যায়।
শনিবার কালো উরদ দান করুন। তাতে শনির মহাদশার কষ্ট ভোগ করতে হবে না।
প্রসঙ্গত, শনিবার শনিদেবকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে শনিদেবের পুজো করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। শনিদেব হলেন ন্যায়ের দেবতা যিনি প্রত্যেককে তাঁর কর্ম অনুসারে ফল দেন। যাঁরা শনিদেবের আশীর্বাদ পান, তাঁরা জীবনে অনেক উন্নতি করেন। শনি সাড়ে সাতি এবং শনি ধাইয়ায় বিভ্রান্ত মানুষকে জীবনে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রে, শনিদেবকে শান্ত রাখার জন্য অনেক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। শনিবার অশ্বত্থ-গাছ সংক্রান্ত কিছু প্রতিকার করলে সাড়ে সাতির অশুভ প্রভাব কমে যায়।
ডিসক্লেমার : ধর্মীয় বিশ্বাস নিজস্ব। এ ব্যাপারে কোনও মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ ধর্ম সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।