কলকাতা : বড় ঠাকুররে রোষকে ভয় পান সব্বাই। ভাবেন এই রাগ থেকে নিস্তার নেই কারও । কিন্তু শনিদেব কি এতটাই ভয়ঙ্কর? শাস্ত্র বলছে শনি হলেন ন্যায়প্রিয় গ্রহ। তিনি ন্যায়দণ্ড হাতে নিয়ে বসেন। কর্মফল অনুসারে প্রভাব বিস্তার করেন ব্যক্তিজীবনে। আর গ্রহরাজকে এই জায়গা দিয়েছিলেন মহাদেব।
শনি (Shani) পুরাণ অনুযায়ী সূর্যের (Sun) পুত্র। কিন্তু, এর পরেও শনি একবারতাঁর পিতার প্রতি খুবই ক্রুদ্ধ হন। তখন শনিদেব সূর্যর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে শিবের তপস্যা শুরু করেন। তিনি কঠোর তপস্যা করেছিলেন। আর শনিদেবের তপস্যার জেরে ভগবান শিবকে শনিদেবের কাছে আসতে হয়েছিল।
শনিদেবের ডাকে সাড়া দেন শিব। শনিদেব বলেন, বাবা-সূর্য তাঁর মাকে অপমান করেছেন। এ কথা তিনি কখনও ভুলতে পারবেন না। শনিদেব শিবের কাছে প্রার্থনা করেন, তিনি যেন তাঁর পিতার চেয়েও অধিক শক্তিশালী ও পূজনীয় হন। শিব বলেন, তাই হবে। শুধু মানুষ নয়, দেবতা ও অসুররাও শনিকে ভয় পাবেন, এমনই বর দিয়েছিলেন শিব। এই কারণেই শনির দৃষ্টি থেকে কেউ রেহাই পায় না।
তবে শনিদেবতার রোষ ধুয়ে মুছে যেতে পারে মহাদেবকে তুষ্ট করতে পারলে। আর শ্রাবণের সোমবার ছাড়া এমন সুবর্ণ সুযোগ হয় নাকি। সোমবার দিনটি ভগবান শিবকে উৎসর্গ করা হয়। এই সোমবারে শুক্রাদিত্য যোগ, নবপঞ্চম যোগ, গজকেশরী যোগ, কুবের যোগ, বুধাদিত্য যোগ এবং শশ যোগ গঠিত হচ্ছে। জ্য়োতিষদের দাবি, প্রায় ৭১ বছর পর শবন মাসে সোমবারে এমন এক বিরাট কাকতালীয় ঘটনা ঘটছে। এর আগে ১৯৫৩ সালে সোমবার একটি কাকতালীয় ঘটনা ঘটে। যার কারণে উপকৃত হয়েছিল বেশ কিছু রাশির জাতকরা।
এদিন কয়েক দি কাজ করলে এক্কেবারে তুষ্ট হয়ে যান মহাদেব।
- এদিন, নিখুঁত ১৫টি বেলপাতা ও গঙ্গাজল দিয়ে অভিষেক করলে পাপ ধুয়ে যায়।
- অভিষেকের সময় জলে ৫টি নাগকেশর, ৫টি হলুদ রঙের ফুল ফেলে অভিষক করলে ব্যবসায় বৃদ্ধি ঘটে।
- মহাদেবের সিদ্ধি খুব প্রিয়। কাঁচা দুধে সিদ্ধি পাতা দিয়ে অভিষেক করলে মনের শান্ত হয়। ভয় তাড়া করতে পারে না।
- দুধ, দই, ঘি, মধু, চিনি মিশিয়ে পঞ্চামৃত তৈরি করুন। তাই দিয়ে শিবের অভিষেক করতে পারেন।
- ১০৮টি বেলপাতা উৎসর্গ করতে পারলে ভাল।
- শিবকে সোমবার তুষ্ট করুন এই মন্ত্রে। ‘শ্রীং হ্রীং শ্রীং’ মন্ত্র বলে শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন।
ডিসক্লেমার : ধর্মীয় বিশ্বাস নিজস্ব। এ ব্যাপারে কোনও মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ ধর্ম সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।