ভগবান শনিদেব ( Shani Dev ) ন্যায়ের দেবতা। তিনি বিচারক গ্রহ। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, তিনি সূর্য দেব এবং ছায়র পুত্র। তাই তাঁকে ছায়াপুত্র নামেও ডাকা হয়। কোনও কোনও জ্যোতিষী এই গ্রহটিকে নয়টি গ্রহের মধ্যে সবচেয়ে কঠোর এবং নিষ্ঠুর বলে মনে করেন। শনিদেব ন্যায়ের দেবতা হিসেবে পরিচিত। তিনি কর্মের প্রতীক।
শনির মহাদশা বা সাড়ে সাতি চললে জীবনে প্রচুর সমস্যা আসে। শোক এবং অশান্তি সৃষ্টি হয়। তবে তা কেটেও যেতে পারে শনিদেবের আশীর্বাদে । ভগবান ভক্তদের ভুল সংশোধনের সুযোগ দেন। শনিদেবকে খুশি করার জন্য কিছু নিয়ম মানতে হবে।
- শনিদেব কর্মের অধিপতি, এবং তিনি একজনের কাজ অনুসারে ফল দেন এবং শাস্তি দেন। খুব কম লোকই জানেন যে, তিনি কতটা দয়ালু এবং নরম হৃদয়ের ! মানুষের ভাল কাজে শনিদেব খুশি হন। তাই ভাল কাজ করলে ভাল ফলও মিলবে।
- দানী মানুষদের পছন্দ করেন শনিদেব। তিনি কর্মের দেবতা। আপনি স্বেচ্ছায় কোনও অভাবী মানুষকে দান করলে গ্রহদেবতা খুশি হন। তবে মনে রাখতে হবে, যাই দান করুন না কেন, ভালবাসার সঙ্গে করুন। সাহায্য করার অভিপ্রায়টা যেন ঠিক থাকে। বিনিময়ে কিছু আশা না করা ভাল।
- ভগবান শনিকে খুশি করা খুব কঠিন নয়। তিল বা সরিষার তেল দিয়ে দীপ জ্বালান। সরিষা বা তিলের তেল দিয়ে প্রদীপ জ্বালান, বিশেষ করে শনিবারে।
- শনিবার কালো পোশাক পরা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কালো কাপড়, কালো তিল, উরদের ডাল, লোহার পাত্র এবং কম্বল নিবেদন করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
- আপনার জীবন থেকে বিষাক্ত জিনিস দূর করুন । ভগবান শনি ইতিবাচক মানুষের প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন। শনিবার অ্যালকোহল এবং আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন অনেকে।
- বটগাছের গোড়ায় মিষ্টি দুধ ঢালতে পারেন। ভগবান হনুমানের পুজো করলে শনিদেব তুষ্ট হন। প্রতি শনিবার 'হনুমান চালিসা' পাঠ করলে শনিদেব প্রসন্ন হন।
- এটা বিশ্বাস করা হয় যে বানরদের গুড় এবং কালো ছোলা খাওয়ালে আপনার জীবনে সৌভাগ্য আসতে পারে।
- পিপল গাছের পুজো করুন 'মহাদোষ' কাটাতে। শনিবার সকালে পিপল গাছের পুজো করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
- পিপল গাছে জল নিবেদন করুন এবং ঘড়ির কাঁটার নির্দেশে সাত বার প্রদক্ষিণ করুন। এই অভ্যাসগুলি অনুসরণ করলে, আপনি শনিদেবকে সন্তুষ্ট করতে পারেন এবং আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তনগুলি প্রত্যক্ষ করতে পারবেন।
ডিসক্লেমার : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।