লাহৌর: জেলে বন্দি থাকা অবস্থাতেও নির্বাচনে নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করে দেখিয়েছেন। পাকিস্তান নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফ এবং তাদের সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা। কিন্তু ইমরানকে পরাস্ত করতে এবার হাত মেলালেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-এর নেতা তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ (Nawaz Sharif) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাবল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। (Pakistan General Elections 2024)


সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তান সাধারণ নির্বাচনে ইমরানের দল এবং তাদের সমর্থিত নির্দলরা ৯১টি আসনে জয়ী হয়েছে। নওয়াজের দল জয়ী হয়েছে ৭১টি আসনে। বিলাবলের দল ৫৩টি আসনে জয়ী হয়েছে। পাক সেনেটের ২৬৬টি আসনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৫০টি আসনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। একটির ফলাফল প্রকাশ স্থগিত রয়েছে, ফলাফল ঘোষণা হয়নি ১৫টি আসনের। সেই নিরিখে সরকার গড়ার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক আসন নেই কোনও দলেরই। 


তাই পরিস্থিতি বিচার করে নওয়াজ এবং বিলাবল হাত মিলিয়ে, জোট সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দু'পক্ষের মধ্যে জরুরি বৈঠকহয়েছে লাহৌরে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিলাবলের বাবা, PPP-র সভাপতি আসিফ আলি জারদারি। রয়েছেন সদ্য প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া শেহবাজ শরিফ, যিনি নওয়াজের ভাই। বিলাবলও বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। মুত্তাহিদা কাউমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানমও  MQM-P জোট সরকারের শরিক হচ্ছে বলে খবর। নির্বাচনের আগেই যদিও নওয়াজের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল তারা। নওয়াজকে আবারও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী করায় সায় ছিল তাদের।


আরও পড়ুন: Pakistan General Election: দল হিসেবে এগিয়ে PML(N), আসনসংখ্যায় টেক্কা ইমরান-সমর্থিত নির্দলদের, পাকিস্তানে শেষ হাসি হাসবে কে?


শুধু তাই নয়, ইমরানের সহযোগী বলে এতদিন পরিচিত ছিল যে মজলিস ওয়াহদুল মুসলিমিন (MWM)-ও জোট সরকারের অংশ হতে চলেছে বলে খবর। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইমরান সমর্থিত নির্দলরাও  MWM-এর সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন। মহিলা এবং সংখ্য়ালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসনগুলি ধরে রাখতেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে খবর।


পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখনও পর্যন্ত নওয়াজের দলের প্রতিই সমর্থন রয়েছে সেনার।  নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর পাক সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির বলেন, "স্থিতিশীল ব্যক্তিকে প্রয়োজন দেশের। নৈরাজ্য এবং বিভাজনের রাজনীতির ক্ষত সারিয়ে তোলা প্রয়োজন। ২৫ কোটি জনসংখ্যা যে উন্নয়নশীল দেশের, সেখানে এই সমস্যা থাকা কাম্য নয়।" তবে শেষ মেশ কার হাতে ক্ষমতার রাশ ওঠে, তা আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।