কলকাতা : শনি বার। শনি দেবতার পুজোর দিন। অশুভ ছায়া পড়ে এমন কোনো কাজ এদিন করা ঠিক নয়। মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতি হয়। কারও উপর শনির কুদৃষ্টি এড়াতে এমন কিছু কাজ রয়েছে যা ভুল করেও করা উচিত নয়।
- শাস্ত্র অনুসারে যারা অবলা প্রাণী বিশেষ করে কুকুরকে অত্যাচার করলে তাদের প্রাণহানি হতে পারে। এই ধরনের কাজ করলে শনিদেবের রোষের মুখে পড়তে হয়।
- যারা খারাপ ভাবনা চিন্তা ছড়ায়, অপরিষ্কার ভাবে থাকে, তারা কখনই শনির আশীর্বাদ পায় না। শনির অশুভ ছায়ার কারণে এই ধরনের ব্যক্তিরা হামেশাই অসুস্থতা, কষ্ট, আর্থিক সংকট, ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়।
- শনি কর্মের দাতা । বলা হয়, বলা হয় যারা নিজের লাভের জন্য দরিদ্র, অসহায় মানুষের যে কোনও ধরনের ক্ষতি করে, তাদের ক্ষমা করেন না শনি। যারা খারাপ কাজ করে, চুরি এবং প্রতারণা করে তাদের আজীবন শাস্তি দেন শনি। শনি রাগান্বিত হলে এই ধরনের লোকদের খারাপ সময় শুরু হয়।
- বড়দের অপমান করলে, তার উপর ক্ষুব্ধ হন শনি। যে মাকে কুকথা বলে, তাকে শনির ক্রোধ সামলাতে হয়। এই কাজ করলে শনি ধনীকেও গরীব করে দেন।
- অমাবস্যা বা শনিবার যারা মদ্যপান করে, তাদের ক্ষতি অনিবার্য। প্রতিশোধমূলক কাজ করলে শনি ক্ষমা করে না।
- শনি মহাদশা যখন এই ধরনের লোকদের উপর পড়ে, তখন তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে কষ্ট পেতে হয়।
- পিপল গাছের পুজো উপকার দেয়। মনে করা হয় , যারা পিপল গাছের ক্ষতি করে, কেটে ফেলে, তাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হন শনি।
- আপনি যদি শনি দোষ থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে শনিবার শনি মূর্তিতে তেল নিবেদন করুন এবং গরিব, অভাবী, দান করুন। প্রতিদিন দিন হনুমান চালিসা পাঠ করুন।
হনুমান চালিসা পাঠ করা হল- শনিদেবের কুদৃষ্টি থেকে বাঁচার সবচেয়ে নিশ্চিত উপায়। যদি আপনার কুণ্ডলীতে সাড়ে সাতি থাকে বা আপনি শনির ক্রোধে ভুগে থাকেন, তবে হনুমান চালিসা পাঠ করুন। শ্রী হনুমান চালিসার পাঠ শনির সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়।
ওম প্রম প্রম প্রম সহ শনিচারায় নমঃ! উপরের মন্ত্রটি হল শনি বীজ মন্ত্র। ভগবান শনির নিষ্ঠুর দৃষ্টি এড়াতে এবং তাঁর আশীর্বাদ পেতে এই মন্ত্রটি জপ করা উচিত।
ডিসক্লেমার : (কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রিত তথ্য প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)