জ্যোতিষশাস্ত্রে শনিকে সবচেয়ে নিষ্ঠুর গ্রহ মনে করা হয়। এই গ্রহ যে কোনও রাশিতে আড়াই বছর থাকে।   কুণ্ডলীতে এই গ্রহ শক্তিশালী। শনির সুনজর কাউকে অপ্রত্যাশিত ভাব ধনী করতে পারে। আবার শনির রোষ নজর 
যে কাউকে ফতুর করতে পারে।  শনিদেব মানুষের কর্ম অনুসারে ফল দেন।


১ নভেম্বর শনির তার চালে পরিবর্তন ঘটাবে। ৩০ বছর পর, শনি কুম্ভ রাশিতে থাকাকালীন এমন অবস্থান নিচ্ছে। দীপাবলির ঠিক পরেই শনির বিশেষ অবস্থানে চূড়ান্ত লাভ করতে পারে ৩ রাশির জাতকরা। 


মেষ রাশি
শনির বিশেষ অবস্থান মেষ রাশির জাতকদের জন্য উপকারী প্রমাণিত হবে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি হতে পারে। আয় বাড়বে। আর্থিক লাভের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন চাকরির সুযোগ আসতে পারে। গৃহ ও পরিবারে সমৃদ্ধি আসবে। বিনিয়োগে লাভ হবে। ভাগ্য আপনাকে পূর্ণ সমর্থন করবে।


মিথুন রাশি 
মিথুন রাশির জাতক-জাতিকাদের ওপরও শনির এই অবস্থান শুভ প্রমাণিত হবে। স্থানীয়রা ব্যবসায় চূড়ান্ত লাভ পেতে পারেন। বেশি রোজগারের সুযোগ পাওয়া যাবে। বেতন বাড়বে। বিদেশ ভ্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। আত্মবিশ্বাস বাড়বে। ইচ্ছা পূরণ হতে পারে। অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী হবে। ভাগ্য আপনার সঙ্গে থাকবে।


কুম্ভ রাশি
শনির এই গতি কুম্ভ রাশির জাতকদের জন্যও উপকারী প্রমাণিত হবে। দাম্পত্য জীবন সুখ আসবে। আপনার জীবনে অনেক পরিবর্তন আসতে পারে, যা আপনার উপকারে আসবে। কর্মজীবন ও ব্যবসায় সাফল্য পাবেন। বিনিয়োগে লাভ হবে। সমাজে সম্মান বাড়বে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি পেতে পারেন। অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা দূর হবে।  


জ্যোতিষশাস্ত্রে শনিদেবকে ন্যায়ের দেবতা বলা হয় । বড়ঠাকুর শনি সকলকে তার কর্ম অনুসারে ফল দেন। এ কারণে শনিকে সবাই ভয় পায়। তবে ন্যায়নিষ্ঠদের শনিকে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই।  জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে,  শনি হল সবচেয়ে ধীর গতিশীল গ্রহ। আড়াই বছর পর শনি এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে রূপান্তরিত হয়। শনি একটি রাশিতেই থাকে আড়াই বছর। তাই শনির শুভ ও অশুভ প্রভাব ব্যক্তিদের ওপর দীর্ঘকাল থাকে। ২০২৩ সাল থেকেই কুম্ভ রাশিতে থিতু রয়েছে শনি।  ২০২৪ সালের পুরোটাই শনি তার নিজস্ব রাশি কুম্ভতে থাকবে। কিন্তু, ২৯ মার্চ  শনি গোচর করবে এবং মীন রাশিতে প্রবেশ করবে। 


ডিসক্লেমার : কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।