কলকাতা : হিন্দুধর্মে, প্রতিটি দিনই এক বা একাধিক দেবতাকে উত্সর্গ করা হয়। শনিবার শনিদেব এবং হনুমানজীকে উৎসর্গ করা হয়। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ মঙ্গলবার, শনি একটি ঘর থেকে বেরিয়ে দ্বিতীয় ঘরে অর্থাৎ কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করবে। বলা হয়, শনি একেক রাশি অতিক্রম করতে সময় লাগায় আড়াই বছর। তিনটি রাশি অতিক্রম করতে সময় লাগে মোট সাড়ে সাত বছর। সে জন্যই একে শনির ‘সাড়ে সাতি’ বলা হয়। বলা হয়, একেক জনের জীবনে তিনবার করে সাড়ে সাতি আসতে পারে। 


শনি কুম্ভ রাশিতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই মীন এবং বৃশ্চিক এবং কর্কট রাশির শনির সাড়ে সাতি কাল শুরু হবে।  এই পরিস্থিতিতে, শনি কুম্ভ রাশিতে প্রবেশের আগে শনিবার়ই এই ব্যবস্থাগুলি করে ফেলুন। এতে শনির সাড়ে বারো বছরের প্রভাব কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।


শনিবার বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচতে কী উপায়ে প্রতিকার করবেন - 


                                             



  • শনিবার লোহার আংটি পরা উচিত। এই আংটিটি না তাতিয়ে তৈরি করতে হবে। মধ্যমা আঙুলে এই আংটি পরা খুবই ফলদায়ক। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি সাড়েসাতি এবং ধইয়ার প্রভাব হ্রাস করে।

  • শনি মন্দিরে যান এবং শনিদেবকে সরিষার তেল নিবেদন করুন এবং নিয়মিত ১১ টি ছায়া প্রদান করুন।

  • শনিবার তৈরি করুন কালো অড়হড় ডালের খিচুড়ি। এর পরে, কাছের শনি মন্দিরে যান এবং শনিদেবের পূজা করুন এবং দেবতাকে এই খিচুড়ি নিবেদন করুন। এরপর সেই খিচুড়ি সকলকে পরিবেশন করুন।

  • শনিবার শনি চালিসা ও শনি মন্ত্র জপ করুন।

  • শনিবার ১০৮ বার হনুমান মহামন্ত্র জপ করুন

  • শনি মহাদশা, সাড়ে সাতি ও ধইয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনিবার একটি কালো কাপড়ে সুরমা কাজল, কয়লা, কালো অড়হড়, কালো তিল বেঁধে দিতে হবে। তারপর শনি মহাদশা, সাড়েসাতি ও ধইয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মাথায় ছুঁইয়ে ভাসিয়ে দিতে হবে নদীতে।

  • কুষ্ঠ রোগীদের সেবা করুন, ওষুধ ও ব্যান্ডেজ দান করুন।

  • সদর দরজায় ঝোলান ঘোড়ার নাল লাগান। তাতে সিঁদুর দিন।

  • শনিবার কালো পোশাক পরা শুভ। 

  • মদ্যপান কিংবা ধূমপান একেবারেই এড়িয়ে যান।  

  • শনিবার বাড়িতে শমীর চারা লাগান। এতে শনিদেব প্রসন্ন হন বলে বিশ্বাস করা হয়। তার সুখে শনির সাড়ে সাতির প্রকোপ শেষ হবে।