কলকাতা : বাস্তুশাস্ত্র হোক বা জ্যোতিষশাস্ত্র, উভয় জায়গাতেই এমন কিছু অভ্যাসের কথা বলা হয়েছে, যেগুলি পরিবারের উন্নতি ও খুশির সঙ্গে সম্পর্কিত। বাস্তুশাস্ত্রে, এমন কিছু কাজের কথা বলা হয়েছে, যা ভুল করেও রাতে শোওয়ার আগে করা উচিত নয়...নারী বা পুরুষ কারওই। বাস্তুশাস্ত্রে এই অভ্যাসগুলিকে ভাল বলে মনে করা হয় না। যদি আপনি শোওয়ার আগে এই কাজ করেন, তাহলে মা লক্ষ্মী আপনার উপর ক্ষুব্ধ হতে পারেন। ধন-সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।


জেনে নিন এই  অভ্যাসগুলি কী কী...


রাতে অনেকেই বালিশের পাশে জলের বোতল রেখে ঘুমান, যাতে তৃষ্ণা পেলে সঙ্গে সঙ্গে জল পান করতে পারেন। কিন্তু, এই অভ্যাসটিকে বাস্তুশাস্ত্রে অশুভ বলে ধরা হয়। এমনটা করলে চন্দ্র-দোষ হতে পারে। নেতিবাচকতাও বাড়ে। অতএব, আপনি যদি এমনটা করেন তবে আজই এই অভ্যাস ত্যাগ করুন। বিছানা থেকে কিছু দূরে টেবিল ইত্যাদির ওপর জলের বোতল রাখতে পারেন। 


বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, বিছানায় খাওয়া-দাওয়া করা উচিত নয়। কিন্তু, তা সত্ত্বেও অনেকেই বিছানায় বসে খাবার খান। শুধু তা-ই নয়, এরপর তারা একই ঘরে এঁটো বাসনপত্র রেখে বিছানা পরিষ্কার না করেই ঘুমাতে চলে যান। আপনার এই অভ্যাস ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। মা লক্ষ্মী এতে অসন্তুষ্ট হন। যেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখা হয় না, সেখানে দেবী লক্ষ্মী থাকেন না।


রাতে শোওয়ার আগে বালিশের নীচে মানিব্যাগ, ঘড়ি, খবরের কাগজ, বই বা ইলেক্ট্রনিক্সের জিনিস রাখবেন না। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, এই অভ্যাসটা ত্ুটিপূর্ণ। এর জেরে শুধু ঘুমই খারাপ হয় না, এর প্রভাব ঘরের সুখ-সমৃদ্ধিতেও পড়ে। 


প্রসঙ্গত, জ্যোতিষশাস্ত্রে লবঙ্গেরও বহু প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে। যেগুলি ব্যবহার করে গ্রহগুলিকে শান্ত করা যায়। একটি ছোট লবঙ্গ শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, এর সাথে সম্পর্কিত জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকারও বিশেষ উপকার দেয়। লবঙ্গ কৌশলগুলি অর্থ লাভ, ঝামেলা থেকে মুক্তি এবং ভাগ্যকে শক্তিশালী করার জন্য খুব দরকারি বলে মনে করা হয়। রাহু-কেতুর দোষও দূর করা যায় লবঙ্গের এই কৌশলে।


আরও পড়ুন ; আর্থিক সঙ্কট ? লবঙ্গর এই প্রতিকারে মিলতে পারে সুফল


ডিসক্লেইমার (Disclaimer): এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই প্রকার কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্যে এবিপি লাইভের কোনও সম্পাদকীয় মতামত নেই। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।