নয়া দিল্লি: বাস্তু শাস্ত্র মেনে নেতিবাচক ও ইতিবাচক শক্তি কোনও পরিবারে বসবাসকারী সমস্ত সদস্যদের জীবনে প্রভাব বিস্তার করে। যে ঘরে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বেশি, সেখানে বসবাসকারী সদস্যরা সুখী, প্রসন্নচিত্ত ও রোগমুক্ত থাকেন। সেই পরিবারে সমৃদ্ধির বাস হয়।                                                             

  


আবার যে ঘরে নেতিবাচক শক্তি থাকে, সেখানে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কথায় কথায় লড়াই-ঝগড়া, পারিবারিক সদস্যদের মধ্যে মনোমালিন্য, আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়। সেই পরিবারের সদস্যরা রোগে ভুগতে থাকেন। তাই পরিবারে ইতিবাচক শক্তির প্রভাব বাড়িয়ে সমৃদ্ধির বাস ঘটানো অত্যন্ত জরুরি।


বাস্তু শাস্ত্রে উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব দিককে সর্বাধিক ইতিবাচক দিক মনে করা হয়। উত্তর দেবতাদের দিক। এ দিকে লক্ষ্মীর বাস। বাড়ির উত্তর দিকে কিছু বস্তু ও শুভ চিহ্ন লাগিয়ে এই দিক দিয়ে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বৃদ্ধি করা যায়। উত্তর দিককে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। এ দিকে পুরনো জিনিস, ভাঙা ফার্নিচার, ভাঙা কাঁচ, ভারী ও খারাপ ইলেকট্রনিকস রাখা উচিত নয়।


আরও পড়ুন, ভ্যালেনটাইন্স ডে-এর দিন পৃথিবীতে ছুটে আসছে গ্রহাণু, বড় বিপর্যয়ের ইঙ্গিত?


বাড়ির উত্তর দিক খালি থাকা বেশি শুভ। এখানে ফুল গাছ লাগাতে পারেন। এর প্রভাবে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আপনার বাড়ির উত্তর দিকে কোনও অন্য বাড়ি থাকলে, সেই কক্ষের উত্তর দিকের দেওয়ালে গণেশ, লক্ষ্মী ও কুবেরের চিত্র লাগান। এমনকি এই সমস্ত দেবী-দেবতাদের যন্ত্রও লাগানো যেতে পারে। এর প্রভাবে অর্থাভাব দূর হয়।


উত্তর দিকের দেওয়ালে কৃষ্ণের চিত্র ও ময়ূরপঙ্খ লাগালে পারস্পরিক সামঞ্জস্য ও ভালোবাসা বজায় থাকে। উত্তর দিকের দেওয়ালে বড় থেকে ছোট পর্যন্ত প্রতিটি কারেন্সির একটি করে নোট ফ্রেম করে লাগালে অর্থের আগমন ঘটে। উত্তর দিকের দেওয়ালে পেন্ডুলাম দেওয়া ঘড়ি লাগিয়ে রাখবেন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, তার পেন্ডুলাম যেন কখনও বন্ধ না-হয়। পেন্ডুলাম খারাপ হয়ে গেলে তা শীঘ্র বানিয়ে লাগান। উত্তর দিকের দেওয়ালে পঞ্চমুখী বজরংবলীর ছবি লাগালে সমস্ত বাধা দূর হয়। পরিবারে কোনও রোগ থাকে না এবং কুনজর থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। এর প্রভাবে মামলা-মোকদ্দমায় জয় লাভ সম্ভব হয়।