নয়াদিল্লি : বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির প্রত্যেকটি জিনিসে ইতিবাচক বা নেতিবাচক শক্তি থাকে, যা বাড়ির সব সদস্যের ভাগ্যকে প্রভাবিত করে। বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয়েছে কোন পদ্ধতিতে কোন গৃহ নির্মাণ করা উচিত। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘরে কোন ঘরে কোন দিকে থাকা উচিত তার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। বিশেষত, পুজোর ঘর তৈরির সময় বাস্তুর নিয়ম মেনে চলতে হবে। বাস্তু অনুসারে, কয়েকটি দিকে ঠাকুর ঘর তৈরি করা উচিত নয় কারণ তা বাস্তুদোষ নিয়ে আসে। 


ভুল করেও এইসব স্থানে ঠাকুর ঘর নির্মাণ করবেন না



  • বাস্তু মতে, বাড়ির পুজোর ঘর কখনই সিঁড়ির নিচে তৈরি করা উচিত নয়। সিঁড়ির নিচের স্থানকে বাস্তুতে অশুভ মনে করা হয়। সিঁড়ির নিচে মন্দির তৈরি হলে বাড়িতে সর্বদা বিবাদ চলতে থাকে। এ কারণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রতিনিয়ত মনোমালিন্য লেগেই থাকে। এ কারণে মানসিক অশান্তিও চলতে থাকে।


  • বাথরুমের পাশে কখনই বাড়িতে ঠাকুর ঘর তৈরি করবেন না। বাথরুমের উপরে বা নিচে উপাসনা গৃহ তৈরি করা এড়িয়ে চলুন। বাস্তু-নিয়ম অনুসারে বাথরুমের পাশে উপাসনাগৃহ নির্মাণ করা অত্যন্ত অশুদ্ধ বলে বিবেচিত হয়। এতে বাড়ির সদস্যদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ জন্য অর্থেরও ক্ষতি হয়।


  • বাস্তু অনুসারে ঠাকুর ঘর কখনই বেসমেন্টে তৈরি করা উচিত নয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, এমন জায়গায় ঠাকুর ঘর করলে ফল পাওয়া যায় না। বেসমেন্টে অন্ধকার থাকে এবং অন্ধকার জায়গায় কখনই ঠাকুর ঘর তৈরি করা উচিত নয়। উপাসনার স্থানটি খোলা, পরিষ্কার জায়গায় এবং ঘরের মধ্যেই হওয়া উচিত। 


  • পুজোর ঘর কখনই শোওয়ার  ঘরে করা উচিত নয়। খুব অসুবিধে থাকলে শোওয়ার ঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে পুজোর স্থান তৈরি করুন এবং মন্দিরের চারপাশে পর্দা লাগান। বাস্তু অনুসারে ঠাকুর-ঘরে শুধুমাত্র সাদা বা ক্রিম রঙ ব্যবহার করা উচিত।


  • বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঠাকুর ঘরে মূর্তিগুলিও সঠিক বসানো উচিত। ঈশ্বরের ছবি বা মূর্তি কখনই দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে রাখা উচিত নয়। এটি অশুভ বলে মনে করা হয় এবং এটি সর্বদা একজন ব্যক্তির জীবনে সমস্যা নিয়ে আসে।


  • ৩ টি গণেশ এবং মা দুর্গার মূর্তি কখনই  ঠাকুর  ঘরে রাখা উচিত নয়। এছাড়া একটি মাত্র শিবলিঙ্গ, শঙ্খ, সূর্য দেবতার মূর্তি ও শালগ্রাম রাখতে হবে। তা না হলে মন অস্থির থাকে।