Money Savings: অর্থ উপার্জনের (Income) পাশাপাশি সঠিকভাবে টাকাপয়সা সঞ্চয় (Savings) করাও প্রয়োজন। আর্থিক সাশ্রয় এবং আর্থিক সঞ্চয়ের জন্য বেশ কিছু টিপস রয়েছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনশৈলীতে এই ছোটখাটো নিয়মগুলো মেনে চলতে পারলেই অর্থ উপার্জন এবং ব্যয়ের পাশাপাশি টাকাপয়সা জমাতেও পারবেন আপনি। চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক অর্থ সঞ্চয় করার সহজ কিছু টিপস।


টাকার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য শুধু অর্থ উপার্জন করলেই চলবে না। সাশ্রয় করাও শিখতে হবে। কীভাবে অর্থ সঞ্চয় করবেন তার সঙ্গে সঙ্গে পারদর্শী হতে হবে অর্থ বিনিয়োগের ব্যাপারেও। কারণ সঠিক পথে আর্থিক বিনিয়োগের মাধ্যমেই আপনার টাকার পরিমাণ বাড়বে। সবার আগে ফিনান্সিয়াল গোল বা লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে নেওয়া প্রয়োজন। অর্থাৎ আপনার আয়ের কত অংশ আপনি সঞ্চয় করতে চাইছেন এবং কতটা পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে চাইছেন, সেটা আগে থেকেই ঠিক করে নিতে হবে।


সংসারের বাজেট ঠিক করা প্রয়োজন। অর্থাৎ মাসে আপনি কত টাকা আয় করছেন, তার মধ্যে থেকে সংসারের জন্য কতটা খরচ হচ্ছে, সেগুলো দেখে নেওয়ার পর ঠিক করুন যে আপনি কতটা পরিমাণ টাকা জমাতে চান। তবে প্রতি মাসে নিজের আয়ের কিছুটা অংশ সঞ্চয়ের চেষ্টা করা উচিত সকলেরই। আর্থিক বিনিয়োগের ব্যাপারে অনেকেই পারদর্শী হন। নিজের ভাললাগা থেকে চর্চা করেন এই বিষয়ে। কিন্তু যদি আপনি প্রথমবার আর্থিক বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন এমন হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন কোথায় কীভাবে কতটা পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করলে কী পরিমাণ লাভ পাবেন আপনি।


অনেকেরই ধার করার প্রবণতা থাকে। এই অভ্যাস ত্যাগ না করলে আপনি অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন না। তাই টাকা ধার করে জিনিস কেনার অভ্যাস ত্যাগ করুন। ইএমআই দিয়ে অবশ্যই জিনিসপত্র কিনুন। কিন্তু টাকা ধার করে নয়। ব্যাঙ্ক থেকে প্রচুর লোন বা ঋণ নেওয়া হয়ে গেলেও সঞ্চয় করা একটু সমস্যার হয়ে যায়। তাই কারও থেকে টাকা ধার নেওয়া বা কথায় কথায় ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।


মাসে কত খরচ করছেন সেই হিসেব অনেকেই লিখে রাখেন। এই অভ্যাস বেশ ভাল। আপনি বুঝতে পারবেন আপনার আয়ের থেকে বেশি ব্যয় হয়ে যাচ্ছে কিনা। যথেচ্ছ পরিমাণে খরচ করার অভ্যাস থাকলে টাকাপয়সা সঞ্চয় বা সাশ্রয় এবং বিনিয়োগ করা সেভাবে সম্ভব হয় না। 


আরও পড়ুন- হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ফরওয়ার্ড করার সময়েই তৈরি করা যাবে গ্রুপ! আসছে নতুন ফিচার