Bank Loan: ঘরবাড়ির জন্য ঋণ অনেকেই নেন, এমনকী গাড়ি কেনার জন্যেও ঋণ নেন অনেকে। এগুলিতে সুদের হার তুলনায় কিছুটা কম থাকলেও দেখা গিয়েছে সেই তুলনায় ব্যাঙ্কগুলিতে পার্সোনাল লোন (Personal Loan) বা ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার থাকে অনেকটাই চড়া। সেজন্য কোনও বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক থেকে নিজের প্রয়োজনে ঋণ নিতে গেলে চিন্তায় পড়ে যান অনেকে। কীভাবে এত টাকা সুদ মেটাবেন ? তবে কিছু কিছু ব্যাঙ্কে এখনও তুলনীয়ভাবে সুদের হার অনেকটাই কম ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে।


তবে ব্যাঙ্ক থেকে ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সুদের হার কেমন হবে তা অনেকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। ক্রেডিট স্কোর, ঋণগ্রহীতার যোগ্যতা, চাকরি বা ব্যবসা যা থেকে উপার্জন করেন আপনি তার স্থিতিশীলতা ইত্যাদি বিষয় সুদের হার (Personal Loan) নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এর পরেও এমন কিছু কিছু ব্যাঙ্ক আছে যেখানে তুলনায় অনেক কম সুদে ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়া যায়।


ICICI Bank


প্রাইভেট লেন্ডার হিসেবে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্ক হল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। এই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে গেলে ১০.৬৫ থেকে ১৬ শতাংশ পর্যন্ত সুদ গুণতে হতে পারে। তবে এখানে ঋণ মঞ্জুর হওয়ার জন্য ২.৫ শতাংশ প্রসেসিং চার্জ লাগে, কর অতিরিক্ত।


HDFC Bank


ভারতের সবথেকে বড় প্রাইভেট ব্যাঙ্ক এইচডিএফসিতে ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার ১০.৫ থেকে ২৪ শতাংশ পর্যন্ত। প্রসেসিং চার্জ লাগে মাত্র ৪৯৯৯ টাকা।


SBI


১২.৩০ থেকে ১৪.৩০ শতাংশ হারে ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়া যায় এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। তবে এই ব্যাঙ্কের কর্মীদের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় রয়েছে। তাঁদের ক্ষেত্রে ১১.৩০ থেকে ১৩.৮০ শতাংশ সুদে ব্যক্তিগত ঋণ দেওয়া হয় এই ব্যাঙ্কে।


Bank of Baroda


এই ব্যাঙ্কে বেসরকারি ও সরকারি কর্মীদের মধ্যে ঋণের উপর সুদের হারে কিছু পার্থক্য রয়েছে। প্রথমত বেসরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে সুদের হার ১৩.১৫ থেকে ১৬.৭৫ শতাংশ এবং সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে সুদের হার ১২.৪০ থেকে ১৬.৭৫ শতাংশ।


Punjab National Bank


এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সুদের হার ১৩.৭৫ থেকে ১৭.২৫ শতাংশ। তবে এই হার অনেকটাই নির্ভর করে ঋণগ্রহীতার ক্রেডিট স্কোরের উপরে। তবে সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। তাঁরা এই ব্যাঙ্ক থেকে ব্যক্তিগত ঋণ নিলে ১২.৭৫ থেকে ১৫.২৫ শতাংশ সুদ দিতে হবে।


তবে শুধু ঋণের উপর সুদের হারই বিচার্য নয়। ব্যাঙ্কের আরও কিছু বিষয় থাকে। যেমন ঠিক সময়ে ঋণ শোধ না হলে পেনাল্টি দিতে হয়। এই বিষয়ে ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলে তবেই ঋণ নেওয়ার কথা ভাবা উচিত।


আরও পড়ুন: Steel Strip Wheels: ৫০ টাকার স্টক ২৮০ টাকায়, তিন বছরে ৪৫০ শতাংশ রিটার্ন