ভারতের স্বাধীনতা দিবসের পঁচাত্তর বছরের পূর্তি। সেই উপলক্ষে এই বছর আয়োজন ছিল একটি বিশেষ প্রকল্পের। নাম, 'হর ঘর তিরঙ্গা'। স্বাধীনতা দিবসের দিন ভারতের প্রতিটি বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বার্তা দেওয়া হয়েছিল। এই আবহেই দেখে নেওয়া যেতে পারে ভারতের জাতীয় পতাকা গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া। ভারতে ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনের সময় জাতীয়তাবোধ তৈরিতে এর প্রভাব, জাতীয় পতাকার সঙ্গে আমাদের হৃদয়ের যোগাযোগ, রাষ্ট্র এবং সংবিধানের সঙ্গেও এর যোগ ঠিক কীরকম তাও বিশেষভাবে দেখা যেতে পারে। 


অনেকে মনে করেন জাতীয় পতাকায় গেরুয়া রং ভারতের হিন্দু জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে। সবুজ রং মুসলমান জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে। বাকি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে সাদা রং। ১৯২১ সালের ১৩ এপ্রিল তাঁর 'ইয়ং ইন্ডিয়া' বইয়ে মহাত্মা গাঁধী এমন ভাবনার কথা লিখেছিলেন। তখন অবশ্য গেরুয়ার জায়গায় লাল রং ছিল। তার সঙ্গে তিনি এটাও বলেছিলেন যে পতাকায় থাকা 'চক্র' ভারতের অত্যাচারিত জনগণের প্রতীক। এবং প্রতিটি পরিবার কতটা উন্নতি করতে পারবে তারও সম্ভাবনার প্রতীক। কন্সিটিউয়েন্ট অ্য়াসেম্বলির আলোচনার (Constituent Assembly debates) মাধ্যমে ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই তেরঙ্গা পতাকা ভারতের জাতীয় পতাকা হিসেবে গৃহীত হয়। সেখানে আরও একটি ব্যাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, পতাকার সবুজ রং প্রকৃতির প্রতীক, গেরুয়া রং ত্যাগের প্রতীক এবং সাদা রং শান্তির প্রতীক। যাই হোক, তেরঙ্গা আমাদের হৃদয়, রাষ্ট্র এবং সংবিধানের পথে ধরে কীভাবে এই জায়গায় এসেছে তা বিবেচনা না করে জাতীয় পতাকার আলোচনা করা সম্ভব নয়। 


প্রতিটি রাষ্ট্রের একটি জাতীয় পতাকা কেন থাকে? জাতীয় সঙ্গীত এবং জাতীয় পতাকা প্রতিটি রাষ্ট্রের ভিত্তি। প্রতিটি রাষ্ট্রেরই একটি চিহ্ন বা emblem থাকে, ভারতেরও রয়েছে। জাতীয় সঙ্গীত 'জন গন মন' (national anthem) নিয়ে ভারতের একটি জটিল ইতিহাস রয়েছে। ভারতের ক্ষেত্রে সরকারি ভাবে একটি জাতীয় গান (national song) রয়েছে, যা 'বন্দে মাতরম'। আবার একটি unofficial anthem-ও রয়েছে, সেটি হল 'সারে জাঁহাসে আচ্ছা'। এই কারণেই ভারতকে একটি জাতি-রাষ্ট্রের পরিচয় দিতে জাতীয় পতাকার গুরুত্ব অপরিসীম। রাষ্ট্রের সম্মান এবং অখণ্ডতা যেন জাতীয় পতাকার মধ্যেই ধরা থাকে। ভারতের নাগরিকদের সহায়তার জন্য, জাতীয়তাবোধের বিকাশের জন্য এবং দেশের প্রয়োজনে সবচেয়ে বড় ত্যাগ যে মৃত্যু সেই অনুভব উদ্রেক করার সাহায্য করে জাতীয় পতাকা। নানা জাতি, নানা ধর্ম এবং নানা ভাষাগোষ্ঠীকে নিয়ে তৈরি ভারতে, জাতীয় পতাকাই মনে করায় যে কোথাও, কোনও একটি সূত্র ধরে সব ভারতীয়রাই একসূত্রে গাঁথা। কোনও ভাষা, কোনও ধর্ম, কোনও জাতিগোষ্ঠী বা আর কোনও কিছুর সঙ্গে নিজের একাত্মবোধের আগে তাঁরা যে ভারতীয় সেই ভাবনার উদ্রেক ঘটায় আমাদের জাতীয় পতাকা। ফলে শুধু আমাদের সম্মান পায় এমন নয়, রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকদের যোগাযোগও স্থাপনও করে জাতীয় পতাকা।


ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রকের 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব' ওয়েবসাইটে 'হর ঘর তিরঙ্গা'-এর প্রচার দেখা গিয়েছে। এখানেই আলোচনার বিষয় আসে। সেখানে বলা হয়েছে, জাতীয় পতাকার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ব্য়ক্তিগত নয়, বরং অনেক বেশি আনুষ্ঠানিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক। এই প্রচারের মাধ্যমে প্রতিটি ভারতবাসীর সঙ্গে জাতীয় পতাকার ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 'হর ঘর তিরঙ্গা' প্রচারের মাধ্যমে জাতি-রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে নাগরিকদের অঙ্গীকারের কথা, দেশাত্মবোধ জাগানোর কথাও বলা হয়েছে।


এটা বোঝার জন্য, সবার আগে আমাদের দুটি জিনিস বুঝতে হবে। প্রথমত দেশাত্মবোধ ঠিক কী? দ্বিতীয়ত, ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে জাতীয় পতাকার প্রাতিষ্ঠানিক এবং কাঠকাঠ সম্পর্কের বদলে ব্যক্তিগত স্তরের সম্পর্ক তৈরির প্রচেষ্টার বিষয়টি। সবার আগে দ্বিতীয় অংশটি নিয়েই আলোচনা করা যাক। 


আমেরিকা বা কানাডার মতো ভারতে সাধারণ নাগরকিদের তাঁদের বাড়ি বা কর্মক্ষেত্র থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার অনুমতি দীর্ঘদিন ধরেই ছিল না। রাষ্ট্রের কাছে এই অধিকার ছিল। ২০০২ সালে 'Flag Code-India'-তে বিপুল বদল এনে তৈরি করা হয় 'Flag Code of India'। এর সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় পতাকা ওড়ানোর ক্ষেত্রে বেশ  কিছু প্রোটোকল এনে লাগু করা হয় Prevention of Insult to National Honour Act, 1971. এখানেই মনে করা যেতে পারে ১৯৯৫ সালে ২১ সেপ্টেম্বরের দিল্লি হাইকোর্টের একটি রায়। সেই রায়ে দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তখনকার "ফ্ল্যাগ কোড-ইন্ডিয়া" এমনভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে না যাতে একজন সাধারণ নাগরিককে তাঁদের কর্মক্ষেত্র বা বাসস্থান থেকে জাতীয় পতাকা ওড়াতে বাধা দেওয়া যায়।  এই রাস্তা ধরেই অবশেষে ২০০২ সালের 'Flag Code of India' আসে, যা মর্যাদা এবং সম্মানের সঙ্গে তেরঙ্গার অবাধ প্রদর্শনের অনুমতি দেয়। 


জাতীয় পতাকা কী দিয়ে তৈরি হবে এই প্রশ্ন ইদানিং শুরু হয়েছে। সেটা সরিয়ে রেখেই বলা যায় যে Flag Code-এও বেশ কিছু বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। যেমন শুধুমাত্র সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উত্তোলিত থাকবে জাতীয় পতাকা, এমন নিয়ম রয়েছে। যদিও এই পরিবর্তনগুলি সেভাবে জনমানসে ছিল না। ফলে এটা বলাই যেতে পারে যে ভারতীয় নাগরিকদের তাঁদের জাতীয় পতাকার সঙ্গে একটু কেঠো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্কই রয়েছে। সেই অর্থে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। 'হর ঘর তিরঙ্গা' প্রচারের মাধ্যমে ঠিক এই দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে চাওয়া হয়েছে।


ইদানিং জনমানসে বা কোনও প্রতিষ্ঠানেরও স্মরণে এটা নেই যে ভারতের স্বাধীনতার দুই-তিন দশক আগেও কংগ্রেসের পতাকার সঙ্গে কিন্তু ভারতীয়দের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। ইংরেজরা যাকে বলেছিল গাঁধী পতাকা (Gandhi Flag)। এটাই সেই পতাকা, যেটার বিভিন্ন পরিবর্তন হয়। অশোক চক্র আসে পতাকায়। তারপর এই পতাকাটিকেই Constituent Assembly-তে জাতীয় পতাকা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। সেই সময় কংগ্রেসের কর্মীরা এই পতাকা ধরেই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। তাঁরা দেখেছিলেন যে এই পতাকা তুলতে গেলেই ব্রিটিশদের অত্যাচার এবং প্রতিহিংসার শিকার হতে হচ্ছে। ব্রিটিশরা ওই পতাকা নামিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিত। একটি ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে ওই পতাকা তোলার অনুমতি দিয়ে এক ব্রিটিশ সরকারি কর্মী তৎকালীন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকারের শাস্তির মুখে পড়েছিলেন। ১৯২৩ সালে ভাগলপুরে এই ঘটনা ঘটেছিল। তখন ওই অফিসার মেনে নিয়েছিলেন যে কংগ্রেসের ওই পতাকা উড়বে তবে ইউনিয়ন জ্যাকের নীচে থাকবে। তখন সেই সময় ভারতেরর ব্রিটিশ সরকার, এমনকি ব্রিটিশ ক্যাবিনেটও একটি কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, কোনও অবস্থাতেই গাঁধী পতাকা ইউনিয়ন জ্যাকের সঙ্গে উড়বে না। এমনকী নীচেও উড়বে না। 


লবণ সত্যাগ্রহের সময়ে এই পতাকা ওড়ানোর জন্য আট বছরের বালককেও পিটিয়েছিল ব্রিটিশ পুলিশ। কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় তাঁর স্মৃতিকথায় স্মরণ করেছিলেন লবণ সত্যাগ্রহের একটি মুহূর্ত। কংগ্রেস কর্মীরা পতাকা ওড়ানোর চেষ্টা করছিলেন এবং প্রতিবার তা নামিয়ে দিচ্ছিল ব্রিটিশ পুলিশ।     


জাতীয় পতাকা ওড়ানোর অধিকার পাওয়া গিয়েছিল দীর্ঘ লড়াইয়ের পর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদল এসেছে পতাকায়। বন্দে মাতরম-পত্রিকার সম্পাদক ভিকাজি কামা (Bhikaji Cama), ১৯০৭ সালে স্টুটগার্টে 2nd Socialist International Congress-এ প্রথমবার ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি ইউরোপে ভারতীয় বিপ্লবীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রাখতেন। কমলাদেবী এই বিষয়টি নিয়ে বলেছেন যে তিনি এভাবেই ভারতকে একটি রাজনৈতিক পরিচিতি দিয়েছিলেন। ওই পতাকাই ১৯০৬ সালে প্রথমবার উড়েছিল কলকাতায়। ১৯২১ সালের মধ্যে ওই পতাকায় জায়গা পায় অশোক চক্র। তারপরে ফের ১৯৩১ সালে পরিবর্তন আসে পতাকায়। মহাত্মা গাঁধী লিখেছিলেন, 'সব রাষ্ট্রের জন্যই একটি পতাকা গুরুত্বপূর্ণ। অসংখ্য লোক এই পতাকার জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন। এটি অবশ্যই এমন একটি প্রতীক যা ধ্বংস করা মহাপাপ হবে।'




ইউনিয়ম জ্যাক ওড়ার সময় ব্রিটিশদের আবেগ দেখে গাঁধী একবার বলেছিলেন ভারতীয়রা কেন 'এমন একটি পতাকা পাবে না, যার জন্য তাঁরা বাঁচতে এবং মরতে প্রস্তুত থাকবে।' ১৯৪৫ সালের একটি চিত্র দেখা যেতে পারে। ওই সময়ে INA-কে বিশ্বাসভঙ্গ এবং দেশদ্রোহিতার মতো অপরাধের অভিযোগে কাঠগড়ায় আনা হয়েছিল। সেই সময়ে আঁকা ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে সুভাষচন্দ্র বসু এবং INA-এর বীরেরা রয়েছেন। তাঁদের দুপাশে দুটি পতাকা রয়েছে। একটি চরকা থাকা কংগ্রেস পতাকা অন্যটি বাঘের ছবি দেওয়া INA-এর পতাকা।




লড়াইয়ে অনেকেই শহিদ হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের লড়াই বিফল হয়নি। ১৯৪৭ সালের সুধীর চৌধুরীর একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ভারতমাতার পায়ের কাছে পড়ে রয়েছে ভগৎ সিংহ, ক্ষুদিরাম বসু, সূর্য সেন, কানাইলালের মতো শহিদদের মাথা। ভারতমাতার এক হাতে রয়েছে আধুনিক জাতীয় পতাকা। অন্য হাতগুলিতে রয়েছে বিভিন্ন সময়ে যে পতাকাগুলিকে ভারতীয় পতাকা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলি। আর স্বাধীনতার সময়ে সেই ছবিতে রয়েছে জওহরলাল নেহরুও। 


ভারতীয়রা এই পতাকা নিয়ে লড়াই করেছিলেন, কারণ তাঁরা মনে করেছিলেন এই পতাকার জন্য তাঁরা লড়তে পারেন। ঔপনিবেশিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে তাঁরা লড়াই করতে চেয়েই এমন করেছিলেন। পতাকার প্রতি তাঁদের ভালবাসা ভিতর থেকে এসেছিল। পতাকা নিয়ে যাই আলোচনা হোক, এটা মাথায় রাখতে হবে দেশপ্রেমিক জনগণ তৈরি করা রাষ্ট্রের কাজ হতে পারে। কিন্তু যে দেশপ্রেম তৈরি করা হয়, তা বাজারি জিনিসের মতোই ক্ষণস্থায়ী। এটাও কম প্রাসঙ্গিক নয় যে ভারতের সংবিধানে জাতীয় পতাকা নিয়ে কিছু বলার নেই। যদিও সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চের নেতৃত্বে থাকা প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ভিএন খারে, ২০০৪ সালে বলেছিলেন যে সংবিধানের ১৯ (১)(এ) অনুচ্ছেদ দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে নাগরিকের পতাকা ওড়ানোর মৌলিক অধিকার রয়েছে।


সংবিধানে অবশ্যই সব বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা নেই। প্রধান বিচারপতি খারে তাই করেছেন যা আদালত করে, যেমন সংবিধানের ব্যাখ্যা করে। কিন্তু আমাদের অবশ্যই এই সত্যের মুখোমুখি হতে হবে যে যারা পতাকাকে সম্মান করে তারা অবশ্যই সংবিধানকেও সম্মান করে এমনটা সবসময় নয়। রাষ্ট্রও এর ব্যতিক্রম হতে পারে না। বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকার, পতাকা ওড়ানোর অধিকারকে অন্তর্ভুক্ত করে, এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটাাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে সংবিধান নিজেই জাতীয় পতাকাকে অন্তর্ভুক্ত করে। এখন ভারতের নাগরিকরা জাতীয় পতাকা ওড়াতে পারেন। তাই বাকস্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকেও সম্মান করা এবং গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে ভাবার সময় এসেছে।


লেখক লস অ্যাঞ্জেলসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক। ২০২২ সালের অক্টোবরে রোলি বুকস দ্বারা প্রকাশিত তাঁর বই 'Insurgency and the Artist'-এ তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ের শিল্পের অন্বেষণ করেছেন।


ডিসক্লেইমার: এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন লেখক এবং ফোরাম অংশগ্রহণকারীদের মতামত, বিশ্বাস এবং দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্তিগত। তা এবিপি নিউজ নেটওয়ার্কের মতামত, বিশ্বাস ও দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে না।