ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: রাখতে হবে না রেফ্রিজারেটরে। আগামী দিনে ইনসুলিন রাখা যাবে ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও। এমনই এক মলিকিউল আবিষ্কার করেছেন দুই বাঙালি বিজ্ঞানী। গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক সায়েন্স জার্নালে। অপেক্ষা এখন ফাইনাল পেটেন্টের।


বাড়িতে কি ডায়াবেটিসের রোগী আছেন? ফ্রিজ না থাকায়, ইনসুলিন রাখতে সমস্যায় পড়ছেন? বাইরে বেরোলে ইনসুলিন কীভাবে সংরক্ষণ করবেন, তা নিয়ে চিন্তায় থাকেন? 


হামেশাই এরকম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় ডায়াবেটিস রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজনকে। কারণ, রেফ্রিজারেটর ছাড়া ইনসুলিন সংরক্ষণ করা যায় না। এই সমস্যা থেকেই আগামী দিনে মুক্তি দিতে পারে দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর আবিষ্কার। 


ফ্রিজ তো দূরের কথা। ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্তও রাখা যেতে পারে ইনসুলিন। চার বছরের দীর্ঘ গবেষণার পর, এরকমই একটি মলিকিউল আবিষ্কার করেছেন শুভ্রাংশু চট্টোপাধ্যায় এবং পার্থ চক্রবর্তী। তাঁদের আবিষ্কৃত মলিকিউল ব্যবহার করলে, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ইনসুলিন রাখা যাবে বলে দাবি করছেন দুই বিজ্ঞানী।


ভারতের প্রায় ৮ শতাংশ ডায়াবেটিস আক্রান্ত, ইনসুলিন লাগে, রুম ট্রেম্পারেচারে রাখা যায় না। দুই বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন এমন জিনিস যা ৬৫ ডিগ্রি পর্যন্ত রেখে দেব, কথা বলে নেব তাঁদের সঙ্গে। দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর আবিষ্কার ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নাল I science-এ। এখন ফাইনাল পেটেন্টের অপেক্ষা। 


পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে ভারতে মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।তাঁদের মধ্যে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন দেওয়া বাধ্যতামূলক। টাইপ টু রোগীদের মধ্যে একাংশকে ইনসুলিন দিতে হয়।