Fraud: এখনও সাবধান হননি ! আধার কার্ড (Aadhaar Card) দিয়ে অন্যের মাধ্যমে টাকা (Money) তুলছেন ? বড় ভুল করছেন আপনি। কারণ, এই একই উপায়ে বহু লোকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Bank Account) খালি হয়েছে। তাই আগেভাগে সাবধান হোন।


বাজারে এরকম লেখা দেখলে সাবধান হোন !
 অনেক দোকানেই দেখা যায় এই ধরনের লেখা। যেখানে সাইন বোর্ডে পাবেন- 'আধার কার্ড দিয়ে টাকা তোলা যায়'। আপনি যদি এই দোকানগুলিতে গেলে আধার কার্ড থেকে টাকা তুলতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে দোকানে বসে থাকা ব্যক্তি আপনার কাছ থেকে আপনার আধার কার্ড নিয়ে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে দেবে। এর জন্য কিছু টাকা নেয় দোকানদার। এটি দেখতে যতটা সহজ, ততটা নিরাপদ নয়। বিশেষ করে আপনি যদি বাইরের কোনও শহর বা মফসসল থেকে টাকা তুলতে চান, তাহলে ভুল করবেন।


কীভাবে আধার কার্ড থেকে টাকা তোলা যায় ?
ভারতের ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অর্থাৎ NPCI আধার এনাবেল্ড পেমেন্ট সিস্টেম অর্থাৎ AEPS এর সুবিধা দিয়ে থাকে। সহজ কথায়, যদি আপনার আধার কার্ড আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করা থাকে, তাহলে আপনি কেবল আধার কার্ডের সাহায্যে এটিএম কার্ড ছাড়াই আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন।


মাইক্রো এটিএম কী
এর জন্য আপনাকে মাইক্রো এটিএম-এ যেতে হবে। যেখানে আপনি আপনার আধার কার্ড এবং আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন। ব্যাঙ্কগুলি এই কাজটি করে। তবে কিছু দোকানদার যাদের আপনি ব্যাঙ্কিং করেসপনডেন্ট বলতে পারেন, তারাও এই কাজ করে। এই পরিষেবা সেই সব লোকের জন্য সুবিধাজনক, যারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করেন। যেখানে স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের সংযোগ বা ট্র্যাডিশনাল ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সুবিধা নেই, সেখানেই এই ধরনের কাজ হয়।


কীভাবে হয় এই জালিয়াতি ?
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে একটি ঘটনা ঘটেছে। ঘোড়াওয়াল কোতোয়ালি এলাকার একটি গ্রামে আধার কার্ড থেকে টাকা তোলার নামে এক ব্যক্তিকে 15000 টাকা প্রতারণা করেছে দুই ব্যক্তি। এই ক্ষেত্রে পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারিত শিবনারায়ণ বিশ্বকর্মা তার গ্রামের এক দোকানদারের (ব্যাঙ্কিং প্রতিনিধি) কাছে গিয়েছিলেন। যিনি আধার কার্ড থেকে টাকা তোলার কাজ করতেন। সেখানে গিয়ে তার আধার কার্ড দিয়ে টাকা তোলার কথা বলেন ওই ব্যক্তি।


সার্ভার ডাউন বলেই প্রতারণা
সেখানেই লভকুশ যাদব এবং মনোজ যাদব প্রতারিতর থেকে আধার কার্ড নেন। পরে তাঁকে মেশিনে বুড়ো আঙুলের ছাপ দিতে বলেন। কিন্তু তাতেও টাকা বের হয়নি। এরপরই প্রতারিতকে সার্ভার ডাউন বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, এই ঘটনা তার সঙ্গে দুবার হয়েছিল। যদিও কয়েকদিন পরই পাসবুক প্রিন্ট করাতে গিয়ে অবাক হন তিনি। জানতে পারেন, একই দিনে তার অ্যাকাউন্ট থেকে 15000 টাকা তোলা হয়েছে। তাই আগেভাবে সাবধান হোন।


Mark Zuckerberg Watch: অনন্ত অম্বানির থেকে দামি ঘড়ি পরেন জুকারবার্গ ? বিশ্বের মাত্র ২০ জনের কাছেই আছে