Gautam Adani :  অসমে সিমেন্ট প্ল্যান্টের  (Cement Plant) জন্য বরাদ্দের খবর ভুয়ো বলে বিবৃতি দিল আদানি গ্রুপ (Adani Group)। সোমবার সংবাদ মাধ্যমের একাংশে প্রকাশিত এই প্রতিবেদন খারিজ করে দিয়েছে কোম্পানি। আদানি গ্রুপের তরফে বলা হয়েছে, এটি ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর খবর।

ঠিক কী বলেছে আদানি গ্রুপএদিন সংবাদ মাধ্যমে কাছে পাঠানো বিবৃতিতে আদানি গ্রুপের মুখপাত্র বলেছেন- “আমাদের নজরে এসেছে যে কিছু সংবাদ প্রতিবেদন, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ও আদালতের শুনানির ক্লিপ প্রচারিত হচ্ছে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে- অসম সরকার ডিমা হাসাওতে ৩০০০ বিঘা জমি আদানি গ্রুপকে সিমেন্ট প্ল্যান্টের জন্য বরাদ্দ করেছে। 

আমরা স্পষ্টভাবে বলছি যে এই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। আদানির নাম মহাবল সিমেন্টের সঙ্গে যুক্ত করা ক্ষতিকর। মহাবল সিমেন্ট কোনওভাবেই আদানি গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কিত বা এর সঙ্গে যুক্ত নয়। আমরা মিডিয়া, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও জনসাধারণকে এই ধরনের দাবি করার বা শেয়ার করার আগে তথ্য যাচাই করার জন্য দৃঢ়ভাবে অনুরোধ করছি। যাচাই না করা ও বিভ্রান্তিকর বিষয়বস্তুর প্রচার কেবল জনসাধারণকে ভুল তথ্য দেয় না বরং অপ্রয়োজনীয় বিভ্রান্তিও তৈরি করে।”

আদানিদের এই সংস্থা কেমন ফল করেছে

ভাল লাভ হয়েছে আদানিদের এই কোম্পানির ?আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড (APSEZ) ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের (এপ্রিল-জুন) ফল ঘোষণা করেছে। এই ত্রৈমাসিকে কোম্পনি আরও শক্তিশালীভাবে পারফর্ম করেছে। মুনাফা ও রাজস্ব উভয় ক্ষেত্রেই কোম্পানি বৃদ্ধিলাভ করেছে। গত ত্রৈমাসিকে কোম্পানির কনসলিডেটেড নিট মুনাফা ৬.৫৪% বৃদ্ধি পেয়ে ৩,৩১০.৬০ কোটি টাকা হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ৩,১০৭.২৩ কোটি টাকা ছিল।

একইভাবে, কোম্পানির মোট আয় ৮,০৫৪.১৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৯,৪২২.১৮ কোটি টাকা হয়েছে, যা বার্ষিক ভিত্তিতে প্রায় ১৭% বৃদ্ধি হয়েছে। তবে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানির মোট ব্যয়ও বেড়ে ৫,৭৩১.৮৮ কোটি টাকা হয়েছে, যা এক বছর আগে ৪,২৩৮.৯৪ কোটি টাকা ছিল।

APSEZ-এর নজরকাড়া ত্রৈমাসিক পারফরম্যান্সকোম্পানির সিইও অশ্বিনী গুপ্তা বলেছেন, চলতি ত্রৈমাসিকে ২১% রাজস্ব বৃদ্ধি মূলত লজিস্টিকস ও সামুদ্রিক ব্যবসায়ের অসাধারণ বৃদ্ধির কারণে হয়েছে। যা যথাক্রমে দ্বিগুণ ও ২.৯ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, কোম্পানি ট্রাকিং পরিষেবা ও আন্তর্জাতিক মালবাহী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করছে, যার ফলে বন্দর থেকে শেষ গ্রাহক পর্যন্ত পরিষেবা সুবিধা শক্তিশালী হচ্ছে। এই সম্প্রসারণের সুবিধা পশ্চিম এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার মতো বাজারেও দেখা যাচ্ছে।