Maruti Alto Price: ভারতের পাঁচ লাখের অল্টো এখন পাকিস্তানে (Pakistan Car Price) বিক্রি হচ্ছে ২৪ লাখ টাকায়। এখানেই শেষ নয়, ৫০ লাখের টয়োটা ফরচুনারের (Toyota Fortuner) দাম ছাড়িয়েছে দেড় কোটি টাকায়। কেন পাকিস্তানে (Pakistan Economic Crisis) আকাশ ছুঁয়েছে গাড়ির দাম ?
কী হাল পাকিস্তানের
পাকিস্তান বর্তমানে একটি অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন। এর প্রভাব সেখানকার অটোমোবাইল সেক্টরে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে গাড়ি কেনা সাধারণ মানুষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসুন জেনে নিই পাকিস্তানে গাড়ির দাম কত বেড়েছে এবং এর কারণ কী।
পাকিস্তানে গাড়ির দাম আকাশচুম্বী
পাকিস্তানে গাড়ির দাম আকাশছোঁয়া, অন্যদিকে ভারতে একই গাড়ি খুব কম দামে পাওয়া যায়। এখানে আমরা কিছু বড় গাড়ির তুলনা করছি। ভারতে Maruti Suzuki WagonR-এর প্রারম্ভিক দাম 5.54 লক্ষ টাকা, যেখানে পাকিস্তানে এই গাড়ির দাম 32.14 লক্ষ টাকা। Suzuki Alto সম্পর্কে কথা বললে, ভারতীয় বাজারে এর প্রারম্ভিক মূল্য মাত্র 3.99 লক্ষ টাকা, যেখানে পাকিস্তানে এই গাড়ির দাম 23.31 লক্ষ টাকা থেকে শুরু হয়।
ভারতের চেয়ে পাকিস্তানে গাড়ির দাম বেশি কেন?
Suzuki Swift-এর দাম ভারতে 6.49 লক্ষ টাকা থেকে শুরু হয়, যেখানে পাকিস্তানে এর দাম শুরু হয় 47.19 লক্ষ টাকা থেকে। টয়োটা ফরচুনার সম্পর্কে কথা বললে, এটি ভারতে 33.43 লাখ টাকা প্রারম্ভিক মূল্যে পাওয়া যায়। যেখানে পাকিস্তানে এই গাড়িটির দাম 1.45 কোটি টাকা। Honda City ভারতে 11.86 লক্ষ টাকায় কেনা যাবে, যেখানে পাকিস্তানে এর দাম 46.5 লক্ষ টাকা।
পাকিস্তানে গাড়ির দাম এত বেশি কেন?
পাকিস্তানে গাড়ির উচ্চমূল্যের পিছনে অনেক কারণ রয়েছে, এর সাথে পাকিস্তানে স্থানীয় উত্পাদনও খুব সীমিত। যে কারণে উত্পাদন ব্যয় অনেক বেশি হয়ে যায়। এসব কারণে পাকিস্তানের অটোমোবাইল শিল্প ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়েছে।
অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে খুবই দুর্বল। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশের মুদ্রার মূল্যও কমছে, জিনিসগুলি আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। এ ছাড়া ডলারের তুলনায় পাকিস্তানি টাকার মূল্য খুবই কম। যে কারণে আমদানি করা গাড়ি ও তার যন্ত্রাংশের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। অটোমোবাইল কোম্পানিগুলি এই খরচ গ্রাহকদের কাছে দিয়ে যাচ্ছে, যের কারণে গাড়ির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
কোম্পানি ব্যবসা বন্ধ করেছে
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, পাকিস্তানের অনেক অটোমোবাইল কোম্পানি তাদের উৎপাদন কারখানা এবং আউটলেট বন্ধ করে দিয়েছে। এর প্রধান কারণ অপারেশনাল সমস্যা এবং সরকারের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সহায়তার অভাব। এই কারণে সাধারণ মানুষের জন্য গাড়ি কেনা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ এখন দেশে গাড়ির প্রাপ্যতাও সীমিত হয়ে আসছে।
পাকিস্তানে গাড়ি কেনা এখন সাধারণ মানুষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি, দুর্বল মুদ্রা এবং অটোমোবাইল শিল্পে সমস্যার কারণে গাড়ির দাম আকাশচুম্বী। অন্যদিকে, একই গাড়ি ভারতে খুব সস্তা দামে পাওয়া যায়, যার কারণে দুই দেশের মধ্যে গাড়ির দামের বিশাল পার্থক্য রয়েছে।
Provident Fund: কোম্পানিতে যোগ দেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে তুলতে পারবেন ১ লাখ টাকা, এল নতুন নিয়ম