Baba Ramdev News: নতুন ওয়াকফ আইন নিয়ে বড় বিবৃতি দিয়েছেন যোগগুরু বাবা রামদেব। উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে একটি সম্মেলনে বাবা রামদেব বলেন, ভারতে আদপে সকল ধর্মের জন্য, হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ সকলের জন্যই একই আইনের ব্যবস্থা রয়েছে। একটাই আইন সকলের জন্য প্রযোজ্য এখানে। তাঁর মতে এই নতুন ওয়াকফ আইন এই সিস্টেমকে আরও মজবুত করবে।
গত রবিবার রামনবমীরত পুণ্য তিথিতে কৃপালু বাগ আশ্রমের দিব্য যোগা মন্দির এবং রামমুলখ দরবারের দিব্য যোগা আশ্রম সংযুক্ত হয়। রামমুলখ দরবারের দিব্য যোগা আশ্রম আবার পতঞ্জলি যোগপীঠের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছে। এই অনুষ্ঠানেই সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে বাবা রামদেব এই উত্তর দেন। ওয়াকফ আইনকে ঘিরে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বাবা রামদেব বলেন, 'ভারতের মধ্যে একটাই সংবিধান রয়েছে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন সকলের জন্য। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা আরও মজবুত হবে। এই ওয়াকফ আইন যদি না আনা হত, তাহলে দেশের মধ্যে নানাবিধ ধর্মের মানুষ তাহলে আলাদা আলাদা বোর্ড গঠনের দাবি জানাত'।
তিনি আরও বলেন যে কিছু কিছু রাজনৈতিক দল ভোট-রাজনীতির কারণে এই ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করছে, এর পাশাপাশি উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে গ্রামগুলির নাম নতুন করে নির্বাচন ও স্থির করার সিদ্ধান্তকেও সম্মতি জানিয়েছেন তিনি।
মুসলিমরা জানে রাম তাদের পূর্বপুরুষ: বাবা রামদেব
পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীর মিছিলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে বাবা রামদেব জানান, 'ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির কারণেই এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। রামনবমী, জন্মাষ্টমী, ইদের মত ধর্মীয় উৎসবে কোনও রকম বাধা নিষেধ থাকা উচিত নয়। ভারত হল সনাতনের ভূমি, রামের ভূমি, কৃষ্ণের ভূমি, হনুমান, শিবের ভূমি। এখানে সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। কাউকে কারও উপর ঘৃণা প্রদর্শন করা ঠিক নয়। হিন্দুত্ব কাউকে ঘৃণা করে না। মুসলিমদেরও উচিত তাদের রীতি-নীতি, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান মেনে চলা। কিন্তু তাদেরও জানতে হবে যে রাম তাদেরও পূর্বপুরুষ।'
যোগ-ব্যায়ামের জগতে রামদেবের করা কাজ কেউ করতে পারবে না: স্বামী লাল মহারাজ
এই অনুষ্ঠানে পতঞ্জলি যোগপীঠের সাধারণ সম্পাদক আচার্য বালকৃষ্ণ সকল দেশবাসীর উদ্দেশ্যে রামনবমীর আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন যে প্রভু রাম যেন আমাদের সকলের জীবনে জাগ্রত থাকেন যাতে আমরা মিলেমিশে কাজ করতে পারি এবং জাতি-গঠনে পারস্পরিক মেলবন্ধন বজায় রাখতে পারি।
যোগাচার্য স্বামী লাল মহারাজ জানান, স্বামী রামদেব প্রতিটি ঘরে ঘরে যোগব্যায়ামের প্রতিষ্ঠা করেছেন যা আগে কেউ করেনি এবং ভবিষ্যতেও কেউ করবে না। বলা ভাল কেউ করতে পারবে না।