Social Media Ban: বাংলাদেশে হিংসার আগুনের (Bangladesh Crisis) পর থেকেই সরকার Instagram, TikTok, WhatsApp, এবং YouTube সহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media ) প্ল্যাটফর্মের উপর দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। 2 আগস্ট ঘোষণা করা হয়েছে এই ফরমান। মূলত, অনলাইনে প্রতিবাদ-সম্পর্কিত বিষয়বস্তু প্রভাব রুখতেই এই নির্দেশ দেয় হাসিনা সরকার (Sheikh Hasina)। এরপরও বিভিন্ন সোশ্য়াল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ছবি প্রকাশ্য়ে চলে আসে। কীভাবে এই বিষয়টি সম্ভব হয়েছে জানেন ?
কবে থেকে বন্ধ হয় পরিষেবা
রবিবার প্রথম মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা নিষ্ক্রিয় করে সরকার। সোমবার সকালের শেষের দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তবে সংক্ষিপ্ত তিন ঘন্টা বিভ্রাটের পরে মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড উভয় পরিষেবাই স্বাভাবিক হয়। অনলাইন কার্যকলাপ বন্ধ করার এই প্রচেষ্টা সত্ত্বেও প্রতিবাদকারীরা তাদের সমন্বয় এবং যোগাযোগ বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।
নাগরিকরা কীভাবে বিধিনিষেধ এড়িয়ে যাচ্ছে?
সরকারি নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ সত্ত্বেও চলমান বিক্ষোভের ভিডিও এবং ছবিগুলি অনলাইনে প্রকাশিত হতে থাকে। নাগরিকরা নিষেধাজ্ঞাগুলিকে উপেক্ষা করে এই ছবি, ভিডিও দেওয়ার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়া ফুটেজে দেখা গেছে, নাগরিকরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রবেশ করছে। তারা কীভাবে এই ধরনের বিধিনিষেধমূলক পরিস্থিতিতে যোগাযোগ করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
নিউজ 18 রিপোর্ট করেছে, ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার ইন্টারনেট সেন্সরশিপ বাইপাস করার জন্য একটি সুপরিচিত পদ্ধতি। প্রতিবাদকারীরা অন্যান্য বিভিন্ন কৌশলও ব্যবহার করছে। ভিপিএনগুলি বিভিন্ন স্থানে সুরক্ষিত সার্ভারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ট্রাফিককে ব্লক করা প্ল্যাটফর্মগুলি অ্যাক্সেস করার অনুমতি দেয়। যার ফলে এই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।
ভিপিএন ছাড়াও প্রতিবাদকারীরা সরকারি সেন্সরশিপ এড়াতে প্রক্সি সার্ভার, এনক্রিপ্ট করা মেসেজিং অ্যাপ, বিকল্প প্ল্যাটফর্ম এবং মিরর সাইটগুলিও ব্যবহার করে এই অসাধ্য সাধন করেছে বলে জানা গেছে। টর এবং পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কগুলির মতো সরঞ্জামগুলিও অনিয়ন্ত্রিত অনলাইন অ্যাক্সেস বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পরেও বাংলাদেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা। রাতে শেরপুর জেলে হামলা চালিয়ে ৫১৮ জন বন্দিকে নিয়ে পালায় উন্মত্ত জনতা। এদের মধ্যে থাকতে পারে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জামাত-উল-মুজাহিদিন ও আনসারুল বাংলার ২০ জন জঙ্গি। চট্টগ্রামে ৬টি থানায় লুঠপাট চালানো হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় পুলিশের দফতরের গেট ভাঙার চেষ্টা হয়। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।
Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে অশান্তির জের, এই ভারতীয় টেক্সটাইল স্টক বাড়ল ২০ শতাংশ