Baba Ramdev : আজকের যুগে পাশ্চাত্যের প্রভাব ঘিরে ফেলেছে দেশের শিক্ষা পদ্ধতি। সেখানে পতঞ্জলি যোগপীঠের শিক্ষাগত দর্শন নতুন আশার আলো জাগিয়ে তুলছে। সংস্থার দাবি, বাবা রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণের নেতৃত্বে এটি কেবল শিক্ষাকে জ্ঞানের উৎস করেনি বরং জাতীয় উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী নীলনকশাও তৈরি করেছে।
প্রাচীন বৈদিক জ্ঞান আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত
এই দর্শন প্রাচীন বৈদিক জ্ঞানকে আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। যাতে শিশুরা কেবল বইয়ের পোকা না হয়ে দেশপ্রেমিক ও সুস্থ নাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠবে। পতঞ্জলি সংস্থার মতে, এই দৃষ্টিভঙ্গি ভারতকে স্বাবলম্বী করে তোলার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।
আমাদের শিক্ষা মডেল গুরুকুল ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে তৈরি : পতঞ্জলিপতঞ্জলির তরফে এই বিষয়ে বলা হয়েছে, “আমাদের শিক্ষা মডেল গুরুকুল ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে যোগ, আয়ুর্বেদ ও সনাতন সংস্কৃতি সিবিএসই পাঠ্যক্রম একযোগে রাখা হয়েছে।
আচার্যকুলম ও পতঞ্জলি গুরুকুলমের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি জেলা ও তহসিল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। এখানে, শিশুরা সংস্কৃত, বেদ ও বেদাঙ্গ শেখে, পাশাপাশি গণিত, বিজ্ঞান এবং খেলাধুলায়ও দক্ষতা অর্জন করে।”
বাবা রামদেব কী বলেছেন
এই বিষয়ে যোগগুরু বাবা রামদেব বলেন, “শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য চরিত্র গঠন। আমরা বিদেশি আক্রমণকারীদের মিথ্যা মহত্ত্ব শেখাব না। বরং ছত্রপতি শিবাজি, মহারাণা প্রতাপের মতো যোদ্ধাদের প্রকৃত ইতিহাস শেখাব।” তিনি বলেন, এই দৃষ্টিভঙ্গি শিশুদের মধ্যে দেশপ্রেম ও নৈতিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলে, যা জাতির মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করে।
জাতীয় স্তরে ভারতীয় শিক্ষা বোর্ডকে শক্তিশালী করা হয়েছেসংস্তার মতে, “আমরা সম্প্রতি জাতীয় স্তরে ভারতীয় শিক্ষা বোর্ড (ভারতীয় শিক্ষা বোর্ড - বিএসবি) কে শক্তিশালী করেছি। আগামী পাঁচ বছরে, ৫ লক্ষ স্কুল এই বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত হবে।
এই বোর্ডটি শিক্ষা মন্ত্রক কর্তৃক স্বীকৃত ও স্বদেশিয়ানার ওপর জোর দেয়। পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১,৫০০ একরের একটি বিশাল ক্যাম্পাস তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে যোগ এবং আধ্যাত্মিকতার উপর গবেষণা হবে। এটি কেবল ভারতে নয়, বরং বিশ্বজুড়ে ভারতীয় শিক্ষা ছড়িয়ে দেবে।” বাবা রামদেব আরও বলেন, “শিক্ষা বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্য, অর্থনীতি এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করব।”
পতঞ্জলির দাবি, “এই পরিকল্পনা গ্রামীণ এলাকায় পৌঁছাবে, যেখানে দরিদ্র শিশুরা বিনামূল্যে যোগব্যায়াম ও শিক্ষা পাবে। কেন এই দৃষ্টিভঙ্গি জাতীয় উন্নয়নের নীলনকশা? কারণ কেবল শক্তিশালী শিক্ষাই একটি শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তোলে।
পতঞ্জলির আদিবাসী পণ্যের মতো, শিক্ষাও একটি আত্মনির্ভর ভারতের ভিত্তি হয়ে উঠবে। যোগের মাধ্যমে একটি সুস্থ শরীর, বেদের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী মন এবং বিজ্ঞানের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি - এই ত্রয়ী দেশকে বিশ্বনেতা করে তুলবে।”
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে পতঞ্জলির মডেল বেকারত্ব হ্রাস করবে ও সাংস্কৃতিক ঐক্যকে শক্তিশালী করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নত ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিতে এই শিক্ষা বিপ্লব একটি মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত হবে।