নয়াদিল্লি: জনস্বাস্থ্য পরিষেবায় সরকারি খরচ ১ শতাংশ বাড়ানো হোক। শুক্রবার সংসদে পেশ হওয়া আর্থিক সমীক্ষায় সুপারিশ করা হল। ২০১৭-য় জাতীয় স্বাস্থ্য় নীতিতে যেমনটা ভাবা হয়েছিল, সেইমতো জিডিপির ২.৫ শতাংশ বরাদ্দ হোক, সেখান থেকে বেড়ে ৩ শতাংশ হোক জনস্বাস্থ্য পরিষেবার পিছনে বরাদ্দ। এতে সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিষেবায় খরচের ক্ষেত্রে আউট অব পকেট এক্সপেনডিচার (ওওপিই) ৬৫ থেকে কমে ৩৫ শতাংশ হবে। ২০২০-২১ এর আর্থিক সমীক্ষা পেশ করে বলা হয়েছে, একটি দেশের স্বাস্থ্য কেমন, তা নির্ভর করে তার নাগরিকরা সমান, দায়বদ্ধ, খরচ বহনসাধ্য স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার সুবিধা পান কিনা, তার ওপর। স্বাস্থ্যের পিছনে সরকারি খরচ বাড়লে মোট স্বাস্থ্যখাতে ব্যয়ের অংশ হিসাবে ওওপিই কমে। সমীক্ষায় এও বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যে্র ক্ষেত্রে ওওপিই সমাজের প্রান্তিক, বিপন্ন গোষ্ঠীগুলিকে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দেয় কারণ স্বাস্থ্যের পিছনে খরচ প্রচুর বেড়ে যায়।
সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, একটি দেশের মানুষের জীবনের মেয়াদ, আয়ুর সঙ্গে পার ক্যাপিটা অর্থাত্ মাথাপিছু জনস্বাস্থ্য ব্যয়ের গভীর সম্পর্ক আছে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ওওপিই আছে যে দেশগুলির, তাদের মধ্য়ে আছে ভারত, যার জেরে দেশে গরিবি, আর্থিক সঙ্কট গভীর হয়। এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা ভারতের জনসাধারণের একটা বড় অংশকে আর্থিক সহায়তা দেবে, একটা চূড়ান্ত বিবর্তন ঘটাবে।
সমীক্ষায় স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত অধ্যায়ে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ অতিমারী স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রের গুরুত্ব ও অর্থনীতির অন্য গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলির সঙ্গে তার পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, চলতি অতিমারী পর্ব থেকে যেসব শিক্ষা নেওয়া যায়, সেগুলির অন্যতম হল, এটা দেখাল, কীভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত সঙ্কট আর্থিক ও সামাজিক বিপর্যয়ে বদলে যেতে পারে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দেশকে অতিমারী মোকাবিলায় সচল করে তুলতে হলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকেও সজীব হতে হবে। তাছাড়া ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত নীতিতে দীর্ঘমেয়াদি অগ্রাধিকারে গুরুত্ব দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে। সমীক্ষায় অভিমত জানানো হয়েছে, যেসব দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা বেশি জীর্ণ, ভঙ্গুর, সেখানে পারফরম্যান্স খারাপ হয়। স্বাস্থ্য পরিষেবার খরচ বেশি হয়, মান ও যোগ্যতা কমে।