নয়াদিল্লি : আগামী অক্টোবর-নভেম্বর বিধানসভা ভোট বিহারে। তার আগে এই রাজ্যকে ঢেলে ভরানোর চেষ্টা করল মোদি সরকার। এদিন কেন্দ্রীয় বাজেটে বিহারের জন্য একাধিক ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। 'বিহারের মানুষের জন্য মাখনা বোর্ড তৈরি করা হবে', বলে জানান তিনি। 'এই উদ্যোগের লক্ষ্য, রাজ্যে মাখনার উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ এবং মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি করা।' Union Budget 2025

Continues below advertisement

এর পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, আইআইটি-কে বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসাবে পটনায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ক্ষমতা বাড়ানো হবে। এর মধ্যে আরও সাড়ে ৬ হাজার ছাত্রের থাকার জন্য পাঁচটি আইআইটিতে অতিরিক্ত পরিকাঠামো তৈরি করা হবে।

গরিবদের উন্নতির উদ্যোগ হিসাবে সরকার যেভাবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে জোর দিয়েছে তার ওপর এদিন জোর দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এই লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে, National Institute of Food Technology, Entrepreneurship, and Management-এর প্রতিষ্ঠা করা হবে বিহারে। যাতে ইস্টার্ন রিজিয়নে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কার্যকলাপে প্রসার ঘটানো যায়। অর্থমন্ত্রীর কথায়, এই উদ্যোগটি দু'টি প্রধান সুবিধা দেবে। প্রথমত, এটি তাদের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য যোগ করে কৃষকদের উপার্জন বৃদ্ধি করবে এবং দ্বিতীয়ত, এটি অঞ্চলের যুবকদের মধ্যে দক্ষতা, উদ্যোক্তা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।

Continues below advertisement

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতি বিশ্বের তাবড় অর্থনীতির মধ্যে দ্রুত উন্নয়নশীল। গত ১০ বছরে উন্নয়নে আমাদের ট্র্যাক রেকর্ড এবং পরিকাঠামোগত সংস্কার গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে। ভারতের সামর্থ্য এবং সম্ভাবনার প্রতি আস্থা এই সময়ের মধ্যেই বেড়েছে। আগামী ৫ বছরে এটা অনুধাবন করা যাবে যে, 'সবকা বিকাশ' হচ্ছে। 

কেন্দ্রে তৃতীয় দফায় মোদি সরকার গড়তে সাহায্য করেছে বিহারের নীতিশ কুমারের দল জেডি(ইউ) ও অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নায়ডু নেতৃত্বাধীন দল টিডিপি। গত বছরের বাজেটেই বিহারের জন্য একাধিক বড় প্রোজেক্টের আশ্বাস দিয়েছিল সরকার। এবার বাজেটের আগে বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী সীতারমণের কাছে একটি ৩২ পাতার স্মারক জমা দেন। তাতে উত্তর বিহারে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৩ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সাহায্যের অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া দ্বারভাঙা বিমানবন্দরের মানোন্নয়ন এবং রাজগীর ও ভাগলপুরে নতুন বিমানবন্দর স্থাপনের কাজে কেন্দ্রের সাহায্য চাওয়া হয়। আবেদননামায় রয়েছে- রক্সৌলে বিমানবন্দরের তহবিল , ১০টি নতুন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় নির্মাণের বিষয়ও রয়েছে।