নয়া দিল্লি: বাজেট বক্তৃতায় কবিতা পাঠ এক রীতির মধ্যেই পড়ে। এ বছর অবশ্য কবিতা নয় মহাভারতের একটি শ্লোক পাঠ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এদিন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার সময় তিনি প্রত্যক্ষ কর এবং আয়কর স্ল্যাবের বিষয়ে বাজেটের দ্বিতীয় অংশ পেশের সময় মহাভারতের শান্তি পর্বের একটি শ্লোক পাঠ করেন।                              


কী বলা হয়েছে সেখানে? 


শান্তিপর্বের এই শ্লোকটির প্রণেতা মহর্ষি শ্রীকৃষ্ণদ্বৈপায়নবেদব্যাস। এই পর্বটিতে অধ্যায় সংখ্যা মোট ৩৪৬ এবং শ্লোক রয়েছে ১৩ হাজার ৭৩২। গোটা পর্বটিতে হস্তিনাপুরে যুধিষ্ঠিরের রাজ্যাভিষেক ও প্রজাপালনের কাহিনী বর্ণিত রয়েছে। বিস্তৃতভাবে রাজধর্মে আলোচিত হয়েছে। ১১ তম শ্লোকে বলা হয়েছে, "দাপয়িত্বাকারণধর্ম্যণ্ত্রাণিত্যতাবিধি |আশেশঙ্কল্পেদ্রাযযোগক্ষেমানাতন্দ্রিতঃ ||”  


আরও পড়ুন, দেড় ঘণ্টা! সংক্ষিপ্ততম বাজেট ভাষণ নির্মলা সীতারামনের


এই শ্লোকের কী অর্থ? কে একথা বললেন অর্থমন্ত্রী? 


সংস্কৃত শ্লোকটির বাংলা তর্জমা করলে হয়, "রাজাকে সর্বদাই যেকোনও লঘু নিয়ম ত্যাগ করতে হবে। ধর্মের শাসন প্রবর্তন করে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর সংগ্রহের মাধ্যমে জনগণের কল্যাণের ব্যবস্থা করতে হবে। এই শ্লোক পাঠ করার পরে, অর্থমন্ত্রী ব্যাখ্যা করেছিলেন কেন তিনি এটি উদ্ধৃত করেছেন। নির্মলা সীতারমণ বলেন, "আমাদের প্রাচীন গ্রন্থগুলি থেকে আমরা জ্ঞান অর্জন করি এবং অগ্রগতির পথে চলতে থাকি। এই বাজেটের প্রস্তাবগুলি, স্থিতিশীল এবং কর ব্যবস্থা আমাদের ঘোষিত নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা সংস্কারের পথেই হাঁটতে চলেছি। এটি কর ব্যবস্থাকে আরও সহজ করবে।" 


এবারের বাজেটে মধ্যবিত্ত-চাকুরিজীবী করদাতাদের পাওনা বলতে মধ্যবিত্ত করদাতাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী সেটিটুকুই। ও, এবারও বাড়ল না আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা। দেওয়া হল না অন্য কোনও পথে কর ছাড়ের সুরাহা। বাড়ি-গাড়ি কেনার ক্ষেত্রেও দেওয়া হল না কোনও ছাড়। ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে, আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়েনি। এবারও আয়কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা হল না।