নয়াদিল্লি: আজ সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এখনও পর্যন্ত এটাই তাঁর সংক্ষিপ্ততম বাজেট ভাষণ। এদিন তাঁর বাজেট ভাষণ ছিল দেড় ঘণ্টার। ফলে তা ছিল অন্যতম সংক্ষিপ্ত বাজেট ভাষণ। সাধারণত বাজেট ভাষণ ঘণ্টা দুয়েকের হতে পারে। 
সীতারামন এই দ্বিতীয়বার পেপারলেস বাজেট ভাষণ পাঠ করলেন। ট্যাব থেকে তিনি তাঁর বাজেট ভাষণ পড়লেন। সেইসঙ্গে মহাভারতের শান্তি পর্ব থেকে এই শ্লোকও শোনালেন অর্থমন্ত্রী। 


২০১৯-এ নির্মলা সীতারামনের দীর্ঘ বাজেট বক্তৃতার পেশ করেছিলেন। তাঁর ওই বাজেট ভাষণের মেয়াদ ছিল দুঘণ্টা ১৫ মিনিটের। পরের বছর সেই সময় আরও বেড়েছিল। তিনি প্রায় ১৬০ মিনিট বাজেট বক্তৃতা দিয়েছিলেন। 


এর আগে ২০০৩-এ জশবন্ত সিনহা ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের বাজেট ভাষণ পেশ করেছিলেন। 


আর শব্দ সংখ্যা ক্ষেত্রে রেকর্ড রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহর। ১৯৯২-এর সেই বিখ্যাত বাজেট ভাষণে তৎকালীন নরসিমা রাও সরকারের অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ১৮,৬৫০ শব্দ পাঠ করেছিলেন। অরুণ জেটলির ২০১৮-র ভাষণে ছিল সামান্য কিছু কম শব্দ। সেই সংখ্যা ছিল ১৮,৬০৪। ওই বাজেট ভাষণ পড়তে সময় লেগেছিল ১ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট। 


ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ রাজ্যের ভোট। তা আগে আজ সংসদে বাজেট ২০২২ পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তবে এবারের বাজেটেও কোনও সুখবর নেই মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীর জন্য। অপরিবর্তিত থাকছে ব্যক্তিগত করকাঠামো। তবে চলতি আর্থিক বছরে আরবিআই-এর হাত ধরে দেশ পাচ্ছে নিজস্ব সরকারি ডিজিটাল কারেন্সি। ডিজটাল লেনদেন থেকে আয়ে লাগবে ৩০ শতাংশ কর। ৬০ লক্ষ নতুন চাকরি, আবাস যোজনায় ৮০ লক্ষ বাড়ি তৈরি এবং প্রতি ঘরে নলবাহিত জল পৌঁছতে বরাদ্দ ৬০ হাজার কোটি টাকার প্রতিশ্রুতি রয়েছে এই বাজেটে। শুল্ক হ্রাসের ফলে দাম কমছে জামা-কাপড়, চামড়াজাত দ্রব্য,কৃষি উপকরণ হিরের অলঙ্কারের। সস্তা হচ্ছে মোবাইল ফোন ও চার্জার।