কলকাতা:

   এবারের কেন্দ্রের সাধারণ বাজেটের (Union Budget) তীব্র সমালোচনা করছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। তিনি বলেছেন, সার্বিকভাবে এই বাজেট জনবিরোধী। তিনি বলেছেন, কৃষকদের উৎপাদিত ফসল কেনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।


করোনা অতিমারী পর্বে বহু মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে। এক্ষেত্রে তাঁদের অবলম্বন হয়ে উঠেছে মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীন কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প (একশো দিনের কাজ)। গতকাল আর্থিক সমীক্ষায় জানানো হয়েছিল, ২০২০-র লকডাউনের সময় একশো দিনের কাজের চাহিদা তুঙ্গে উঠেছিল। তবে চলতি অর্থবর্ষে পরিস্থিতি স্বাভাবিকতার দিকে ফিরেছে।  এই একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দ নিয়েও কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেছেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, এই প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা দরিদ্র মানুষের ওপর একটা বড় আঘাত। তিনি বলেছেন, এই প্রকল্পে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কমেছে।


সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, মিড ডে মিল প্রকল্পের নাম বদল করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। কিন্তু এই প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়েনি, বরং কমেছে। তিনি বলেছেন, অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পে সম্পর্কে অনেক কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে বাজেটে বরাদ্দ বাড়েনি।


সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, এই সরকার দেশের সম্পদ বিক্রি করে গর্ব অনুভব করছে। তাদের কথাতেই তা স্পষ্ট। সরকার আরও গর্বিত হতে চায়। এয়ার ইন্ডিয়ার পর এবার এলআইসি-কে বেচে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। তিনি বলেছেন, দেশ তৈরিতে যাদের কোনও ভূমিকা নেই তারা দেশের সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছে।


সুজন চক্রবর্তী আরও অভিযোগ করেছেন, মধ্যবিত্ত ও সাধারণ মানুষের সুরাহার জন্য কোনও ঘোষণা নেই বাজেটে। মধ্যবিত্ত যাতে আরও নিম্নবিত্ত হয়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্পোরেটদের লুঠে খাওয়ার ব্যবস্থা সরকার করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।


সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, বাজার চালিত অর্থনীতির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের অনেকেই দরিদ্র মানুষের হাতে নগদের যোগান গিয়ে চাহিদা বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু এই দিশায় সরকার কোনও পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি।