নয়াদিল্লি: করদাতাদের হতাশ করে এবারও সাধারণ বাজেটে  ব্যক্তিগত আয়কর কাঠামো অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন,  এবারও বাজেটে অপরিবর্তিত আয়কর কাঠামো। একই থাকছে ব্যক্তিগত কর কাঠামো। কো-অপারেটিভ সোসাইটির সারচার্জ কমানো হচ্ছে। অর্থাৎ, আয়কর নিয়ে এবারের বাজেটেও কোনও সুখবর নেই মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীর।


এ ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠকে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে  কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বাজেট সাধারণ মানুষের জন্য লাভজনক হবে। আয়কর সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, করোনা আবহে জনসাধারণের ওপর করের বোঝা চাপাতে চাইনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, যেন বাড়তি করের বোঝা না চাপে। সেই নির্দেশ মেনেই এবছরও আয়কর কাঠামো অপরিবর্তিত রেখেছি।’


সীতারামন বলেছেন, এবারও এই কর বাড়ানো হয়নি। এই করের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আয়ের কোনও চেষ্টা করিনি। গতবারই প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, ঘাটতি যতই হোক, মহামারীর এই সময়ে যেন সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা যেন বাড়ানো না হয়। সেই নির্দেশ এবারও ছিল। তাই আয়কর কাঠামো অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। যদিও অন্যান্য দেশ কিন্তু কর বৃদ্ধির পথে হেঁটেছে।


এর আগে এদিন অর্থমন্ত্রী বাজেট ভাষণে যে ঘোষণা করেছেন, তা হল - 
• ‘আমরা কর ব্যবস্থাকে আরও সরলীকরণ করায় জোর দিচ্ছি’
• ‘করদাতারা আপডেটেড রিটার্ন ফাইল করতে পারবেন দুবছর পর’
• ‘এক্ষেত্রে বকেয়া কর দেওয়ার জন্য করদাতা দুবছর সুযোগ পাবেন’
• ‘কো-অপারেটিভ সোসাইটির সারচার্জ কমানো হচ্ছে’
• ‘বিশেষভাবে সক্ষম মানুষের করছাড়ের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে’
• ‘কো-অপারেটিভ ট্যাক্স ১৮ শতাংশ থেকে কমে ১৫ শতাংশ করা হল’
• ' করব্যবস্থাকে সহজ করার চেষ্টা করছি '
• ' সার চার্জ কমানো হচ্ছে গ্লোবাল ট্রানস্যাকশনের উপর । ' 
• ' স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ব্যায়কে বিজনেস এক্সপেন্স হিসেবে দেখানো যাবে না।  ' 
• জিএসটি-তে বিরাট উন্নতি সরকার করতে পেরেছে।
• জিএসটির চ্যালেঞ্জ কাটানো সম্ভব হয়েছে। সম্পূর্ণ তথ্য প্রযুক্তি দ্বারা চালিত ব্যবস্থা শুরু করা গিয়েছে। 
• Gross GST Collection জানুয়ারি ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা আয়
• এসইজেড - ক্ষেত্রে কিছু সংস্কার দরকার। পুরোটাই এবার হবে প্রযুক্তি দ্বারা চালিত।