নয়াদিল্লি: আগামী অর্থবর্ষের জন্য সাধারণ বাজেট পেশ করার আগে সংসদে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এরসঙ্গেই রয়েছে পরিসংখ্যানগত পরিশিষ্ট। আর্থিক সমীক্ষাকে দেশের অর্থনীতির রিপোর্ট কার্ড হিসেবে ধরা হয়। শিল্প, কৃষি কোন ক্ষেত্রে কী পরিবর্তন এসেছে, কত আয় হয়েছে, কত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা গিয়েছে, উৎপাদনই বা কত বেড়েছে, আমদানি-রফতানি কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিশদ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। তার নিরিখে আগামী দিনে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে, তারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। আর তার মধ্যেই থাকে জিডিপি বৃদ্ধির পরিসংখ্যান।


আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে আগামী অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার (জিডিপি) ৮ থেকে ৮.৫ শতাংশ থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। চলতি ২০২২ অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৯.২ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। 





আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে মোট খরচ ৭ শতাংশ বেড়েছে। এরমধ্যে তাৎপর্য্য অংশ হল সরকারি ব্যয়। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কৃষি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ৩.৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি ঘটতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। পরিষেবা ক্ষেত্রে চলতি অর্থবর্ষে ৮.২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে। উল্লেখ্য, করোনা আতিমারীর দাপটে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে জিডিপি ৭.৩ শতাংশ হাতে সঙ্কুচিত হয়েছিল। 


সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রায় সমস্ত সূচকেই দেখা গিয়েছে যে, চলতি অর্থবর্ষে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব প্রথম ত্রৈমাসিকে ২০২০-২১-এর পূর্ণ লকডাউন পর্বের তুলনায় স্বল্প ছিল। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব গুরুতর হলেও তা আর্থিক কাজকর্মকে ততটা প্রভাবিত করতে পারেনি।


সমীক্ষায় বলা হয়েছে, করোনার বিরুদ্ধে টিকাকরণ কর্মসূচিতে জনসংখ্যার প্রায় সমগ্র অংশকে সামিল করায় আর্থিক ক্রিয়াকলাপ গতি ফিরে পাচ্ছে এবং সরবরাহ গত সংস্কারের দীর্ঘমেয়াদি সুফলও মিলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের অর্থনীতি এখন ভালো জায়গায় রয়েছে এবং আগামী অর্থবর্ষে তা আট থেকে সাড়ে আট শতাংশ হারে বাড়তে পারে।