নয়া দিল্লি : সামনে লোকসভা ভোট। তার আগে বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কাজেই, বাজেট-ভাষণে কেন্দ্রের 'সাফল্যের' কথা যে উল্লেখ থাকবে সে কথা বলাইবাহুল্য। সেইমতোই ভোটের আগে ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে আশার কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাঁর মতে, ভারতীয় অর্থনীতি রয়েছে সঠিক দিশায়। যার ভবিষ্যৎও উজ্জ্বল।


২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে আজ দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী। কৃষি-শিল্প-সহ বিভিন্ন খাতে সম্ভাবনার কথা তুলে ধরছেন । তিনি জানান, আমাদের লক্ষ্য, সংস্কার। বিশ্ব ভারতের অর্থনীতিকে উজ্জ্বল নক্ষত্র বলে মেনে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় ২ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ভার বহন করছে কেন্দ্র। 


তিনি বলেন, আকারে বেড়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। গত নয় বছরে গোটা বিশ্বের মধ্যে দশম স্থান থেকে উঠে এসেছে পঞ্চম স্থানে। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি করেছি। বিভিন্ন প্রকল্পের যথার্থ প্রয়োগ হয়েছে। 


তিনি আর যা যা ঘোষণা করলেন,



  • কোভিড অতিমারীর সময়ে ২৮ মাস ধরে নিখরচায় খাদ্য সরবরাহ করা হয়েছে।

  • দেশবাসীকে সম্মানের জীবন দেওয়াই সরকারের লক্ষ্য।

  • এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের সদস্যসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

  • যুবকদের ইচ্ছাপূরণ, চাকরির সুযোগ তৈরি সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য।

  • দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা বিরাট সাফল্য লাভ করেছে।

  • প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা নির্দিষ্ট পরিবারকে দেওয়া হবে।

  • আগামী এক বছর এই সব পরিবারকে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে।

  • ২ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ভার বহন করবে কেন্দ্র।

  • ভারতের হস্তশিল্পীদের জন্য আর্থিক প্যাকেজের কথা ভাবা হয়েছে।

  • আর্থিক সাহায্য ছাড়াও শিল্পীদের দেওয়া হবে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ।

  • পর্যটন শিল্পের প্রসারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • কৃষিক্ষেত্রে স্টার্ট আপ বাড়াতে উৎসাহ দেওয়া হবে।

  • ১৫৭টি নার্সিং কলেজ তৈরি করা হবে।

  • শিশু-কিশোরদের জন্য জাতীয় ডিজিটাল গ্রন্থাগার গঠন করা হবে।

  • করোনাকালে পড়াশোনার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করার চেষ্টা চলবে।

  • মৎস্য শিল্পের জন্য বাজেটে ৬ হাজার কোটি বরাদ্দ।

  • ট্রাইবাল মিশনের জন্য ১৫ হাজার কোটি বরাদ্দ।

  • পি এম আবাস যোজনার জন্য ৭৯ হাজার কোটি টাকার উপর বরাদ্দ।

  • রেল প্রকল্পগুলির জন্য ২ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ।

  • দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির শহরের পরিকাঠামো উন্নত করতে বাৎসরিক ১০ হাজার কোটি বরাদ্দ

  • কেওয়াইসি দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজতর করা হবে

  • পরিচয়পত্র, ঠিকানা সংশোধনের উপায় হবে সহজতর

  • সমস্ত ডিজিটাল সরকারি এজেন্সিতে প্যান হবে প্রধান পরিচয়

  • কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য ২০ লক্ষ কোটি বরাদ্দ।

  • পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন মিশনের জন্য ১৯ হাজার ৭০০ কোটি বরাদ্দ।