কলকাতা: বুধবার ১ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Budget 2023) পেশ হল সংসদে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) বাজেট পেশ করেন যার বিরোধীতায় ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা। কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের (Jawhar Sircar)?
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের প্রতিক্রিয়া
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের কথায়, 'বাজেটে সুযোগ অনেকে বেড়েছে ঠিকই, ৫০ লক্ষ কোটি টাকার কথা বলছেন। কিন্তু গত বছরে যে যে খাতে খরচের কথা বলা হয়েছিল, আর যা দেখা যাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে অত খরচ তারা করতে পারেনি। দ্বিতীয়ত, আয়করে ছোটখাটো ছাড় দিয়েছে, কারও বছরে ১৫ হাজার বাঁচবে কারও ২০ হাজার বাঁচবে, এগুলো নিয়ে কথা হচ্ছে, কিন্তু সর্বোচ্চ স্তরে যেখানে বড়লোকদের জন্য ৪২ শতাংশ ছিল, সেখানে আমরা আশা করেছিলাম ওই ঊর্ধ্বসীমাটা একটু বাড়ানো হবে। বড় পুঁজিপতিদের ধনসম্পদ এমন বেড়ে গেছে আমরা ভেবেছিলাম ধনকুবেরদের তারা ধরবে। তাদের কাছ থেকে ১ শতাংশ নিলে তাদের গায়ে লাগবে না কিন্তু সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে সেটা গিয়ে দাঁড়াবে ২ থেকে ৩ লক্ষ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য খাতে যেখানে জিডিপির ২ শতাংশ হওয়া উচিত, সেখানে তারা এবারও স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও কথা বললেন না। বলা হল ১৩৭টা নার্সিং কলেজ ইত্যাদির কথা। আর বলে দিচ্ছে সবই আয়ুষ্মানে মিটে যাবে। তাই যদি হত, তাহলে এত লক্ষ লোকের এত ভোগান্তি কেন? আয়ুষ্মানের তো তিন চার বছর হয়ে গেল।'
অন্যদিকে বাজেট নিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, 'মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য কী করা হবে সেই বিষয়ে কোনও আলোকপাত করা হয়নি। মুদ্রাস্ফীতি যদি এইভাবে হতে থাকে তাহলে এই করের ছাড় দিয়েও মানুষের লাভ হবে না কোনও। নতুন কর কাঠামো হলেও কোনও লাভ হবে না। এটা হঠাৎ আলোর ঝলকানি লেগে ঝলমল করে চিত্তের মতো মনে হচ্ছে। কিন্তু যদি ভিতরে গিয়ে ভাবি তাহলে আমরা বুঝব যে মানুষ এর আসল ফলটা কিন্তু পাবেন না।'
বাজেট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাজেটে আশার আলো নেই, অমাবস্যার অন্ধকার। এই বাজেট শুধু এক শ্রেণির মানুষের লাভের জন্য। ঘটা করে উজ্জ্বলা প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছিল। আজ তার কোনও অস্তিত্বও নেই। বাস্তবে উজ্জ্বলা প্রকল্পে কেউ গ্যাস পাননি।'