Union Budget 2023: কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩ (Budget 2023)- এ একগুচ্ছ নতুন ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। সেই তালিকায় রয়েছে ৫জি (5G) এবং AI সংক্রান্ত ঘোষণাও। অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ১০০টি ৫জি ল্যাবরেটরি তৈরি করা হবে। এর পাশাপাশি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের জন্য খোলা হবে সেন্টার অফ এক্সেলেন্স (CoEs)। ভারতে ইতিমধ্যেই ৫জি পরিষেবার সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার ৫জি পরিষেবা যাতে দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে তার জন্য ভারতের প্রথম সারির ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলিতে ১০০টি ৫জি অ্যাপ্লিকেশন ল্যাব তৈরির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ৫জি অ্যাপ তৈরির জন্য এবং পরিষেবা দ্রুততর করার জন্য এই ল্যাব তৈরির কথা বলা হয়েছে। Comviva টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার সিইও মনোরঞ্জন মহাপাত্র বলেছেন, ভারতের বর্তমান ৫জি রোলআউট পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০টি ৫জি অ্যাপ্লিকেশন ল্যাব তৈরির কথা ঘোষণা করা নিঃসন্দেহে একটি সময় উপযোগী পদক্ষেপ। এই সিদ্ধান্ত ভারতে ৫জি ইকোসিস্টেম আরও সুদৃঢ় ভাবে গড়ে তুলতে, নতুন বিষয় উদ্ভাবনে সাহায্য করবে। এছাড়াও তিনি বলেছেন, নেটওয়ার্ক স্পিড ভাল এবং উন্নত করার জন্য ও প্রতিক্রিয়াশীল ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ৫জি এবং AI সংযুক্ত করার বড় সুযোগ পাওয়া যাবে। 


অন্যদিকে টেলিকম সেক্টর স্কিল কাউন্সিলের সিইও অরবিন্দ বালি জানিয়েছেন, টেলিকমিউনিকেশন এবং ৫জি- র ক্ষেত্রে বার্ষিক চাহিদা ৩৩.৭ শতাংশ বেড়েছে গতবছর সেপ্টেম্বরে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১.৩ মিলিয়ন কর্মীর চাহিদা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই চাহিদার পরিমাণ প্রতিবছর ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি নতুন ক্ষেত্রগুলি যেমন- ক্লাউড কম্পিউটিং, রোবট এবং nternet of Things (IoT)- এইসব জায়গাতেও নিয়োগের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। অরবিন্দের কথায় এবারের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো (৫জি ও এআই সংক্রান্ত) দেশে চলতে থাকা ক্রমাগত চাহিদা ও যোগানের (টেকনিক্যাল ট্যালেন্ট ওয়ার্ক ফোর্স) ব্যবধান কমাতে সাহায্য করবে। 


এই ChatGPT যুগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে সরকারের তরফে তিনটি সেন্টার অফ এক্সেলেন্স খোলা হবে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে এই সমস্ত সেন্টার অফ এক্সেলেন্স খোলা হবে। ম্যাথু ফক্সটন (India Regional President and Executive Vice-President, Branding & Communications, IDEMIA) বলেছেন, ডিজিলকার এবং আধারকে পরিচয় যাচাইয়ের প্রাথমিক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে একটি unified KYC process তৈরির বিষয়টি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। প্রান্তিক সম্প্রদায়ের জন্য বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা সৃষ্টি তৈরি করবে এই পদক্ষেপ। 


রাজীব ভাল্লা (Managing Director, India & Vice President APAC, at Barco)- র মতে আমাদের দেশে একটি বিশ্বমানের ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেন্টার তৈরির ক্ষমতা রয়েছে। এর সাহায্যে ২০৭০ সালের মধ্যে net zero carbon emissions- এর লক্ষ্যে এগোতে পারে দেশ। এছাড়াও স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য আরও অনেক ক্ষেত্রে AI ভিত্তিক সমাধান যুক্ত করলে প্রযুক্তির আরও ভালভাবে ব্যবহার সম্ভব হবে। 


আরও পড়ুন- বাজেটে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুখবর ! সিনিয়র সিটিজেন স্কিমে রাখা যাবে ৩০ লক্ষ টাকা