নয়াদিল্লি: ২০২১-২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ হল ২.২৩ লাখ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন, এই ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দেশজুড়ে করোনা টিকার জন্য ৩৫, ০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করছেন তিনি।

লোকসভায় বাজেট পেশ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ২০২১-২২ সালে করোনা টিকা দেওয়ার জন্য আমি ৩৫, ০০০ কোটি টাকা ধরেছি। দরকার পড়লে আরও অর্থ জোগানোর জন্য আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বাস্থ্য খাতে এ ২০২১-২২ সালের মোট বরাদ্দ ২.২৩ লাখ কোটি টাকা, বাজেট এস্টিমেট ছিল ৯৪, ৪৫২ কোটি টাকা, অর্থাৎ ১৩৭ শতাংশ বরাদ্দ বেড়েছে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ডের পর আরও দুটি করোনা টিকা এ দেশে ছাড়পত্র পেতে চলেছে। ভারত শুধু তার নাগরিকদের করোনা টিকা দিয়ে এই রোগের থেকে সুরক্ষিত করছে তা নয়, ১০০ বা তার বেশি দেশে এই টিকা রফতানিও করা হচ্ছে। করোনায় এখন ভারতে মৃত্যুহার বিশ্বের অন্যতম সর্বনিম্ন, প্রতি দশলক্ষে মাত্র ১১২ জন। প্রতি দশলক্ষে আক্রান্তের সংখ্যাও কমে হয়েছে মাত্র ১৩০। এর ফলেই অর্থনীতি ফের চাঙ্গা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

গত মাসের শুরুতে ভারত অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড ও দেশীয় সংস্থা ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন করোনা টিকাকে জরুরি ভিত্তিতে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দেয়। কোভিশিল্ড করোনা টিকা এ দেশে তৈরি করছে পুনের সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিইউট অফ ইন্ডিয়া। উল্টোদিকে ভারত বায়োটেককে সাহায্য করছে সরকারি সংস্থা আইসিএমআর। ১৬ জানুয়ারি শুরু হয় দেশজুড়ে করোনা টিকা দেওয়ার কাজ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, এটাই বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা দান প্রকল্প, প্রায় ৩ কোটি চিকিৎসক, অচিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী এবং সামনের সারিতে থেকে করোনার বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করছেন, সব থেকে আগে তাঁরাই এই টিকা পাবেন।

কোভিড ১৯ ভ্যাক্সিন অপারেশনাল গাইডলাইনস বলছে, প্রথমে এই করোনা টিকা দেওয়া হবে ১ কোটির মত স্বাস্থ্যকর্মীকে আর ২ কোটির মত সামনের সারিতে থাকা করোনা যোদ্ধাদের। তারপর যাঁদের বয়স ৫০ বছরের বেশি তাঁরা করোনা টিকা পাবেন। তারপর পাবেন তাঁরা যাঁদের বয়স ৫০ বছরের কম অথচ নানা রকম অসুখ রয়েছে, করোনা জীবাণু শরীরে প্রবেশ করলে যা প্রাণঘাতী হতে পারে।