Investment Rules: ভারতে এখন মানুষের মধ্যে স্টক মার্কেটে বিনিয়োগের প্রবণতা বাড়ছে। ট্রেডিং থেকে শুরু করে বিনিয়োগ সব ধরনের ক্ষেত্রেই আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। সব বয়সের মানুষের মধ্যেই সম্পদ বাড়ানোর (Stock Investing) মাধ্যম হিসেবে শেয়ার বাজারে টাকা খাটানোর প্রবণতা বাড়ছে দিনে দিনে। তবে ভারতে সরকারি চাকুরিজীবীদের (Investment Rules) ক্ষেত্রে এই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। এই নিয়ম-নীতি না মানলে পরে সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি।
সরকারি চাকরি করলে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা যায় না ?
ভারতে সমস্ত সরকারি চাকরিজীবীরা ১৬৯৪ সালের সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস আইনের অধীনে থাকেন যে আইনে ব্যক্তিগত স্বার্থের বাইরে জনসেবায় নিশ্চয়তা কঠোর করার জন্য যথার্থ আচরণবিধি বর্ণিত আছে। এই নিয়মের অধীনে সরকারি কর্মচারীরা তালিকাভুক্ত সংস্থার শেয়ার এবং ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ করতে পারেন, তবে কিছু শর্ত মেনে তা করতে হয়।
কী কী নিয়ম বা বিধিনিষেধ রয়েছে
সরকারি কর্মচারীরা স্বীকৃত স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে শেয়ার, সিকিউরিটিজ এবং ডিবেঞ্চার কিনতে বা বিক্রি করতেই পারেন। তবে সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা রয়েছে-
কোনও অনুমানমূলক ট্রেডিং করা যাবে না- কনডাক্ট আইনের ৩৫ নং ধারা অনুসারে সরকারি কর্মীরা কোনওরকম অনুমানমূলক ট্রেডিং করতে পারেন না। যেমন ডে-ট্রেডিং বা শর্ট টার্ম ট্রেডিং কিংবা ফিউচারস অপশনস ইত্যাদি করা যায় না।
নিজের নামে বিনিয়োগ – সমস্ত ধরনের বিনিয়োগ সেই কর্মীকে নিজের নামেই করতে হবে, অথবা তাঁর স্ত্রী কিংবা সন্তানাদির সঙ্গে যৌথভাবে করতে হবে। বেনামে শেয়ার কেনা-বেচা করা যায় না।
বারবার ট্রেডিং থেকে বিরত থাকতে হবে– তবে আইনে সেভাবে কোনও নির্দিষ্ট ট্রেডিং লেনদেনের সংখ্যার ব্যাপারে বলা নেই। তবে বারবার কেনা-বেচা করলে তা স্পেকুলেশন হিসেবেই দেখা হবে।
অ্যাসেটের ঘোষণা বা বয়ান – সেই সরকারি কর্মীকে অবশ্যই তাঁর সমস্ত সম্পদের ও বিনিয়োগের ব্যাপারে জানাতে হবে যদি তাঁর সেই বিনিয়োগের অঙ্ক তাঁর দুই মাসের বেতনের বেশি হয়ে থাকে।
সরকারি কর্মী কী ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন ?
আগে উল্লিখিত আইন অনুসারে কিছু শর্ত মেনে যে কোনও রাজ্যের সরকারি কর্মীরা স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে পারেন। আর স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে গেলে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলা আবশ্যিক। তাই সরকারি কর্মীরও এতে কোনও বাধা নেই।